চট্টগ্রাম 2:32 pm, Friday, 4 July 2025

মিরসরাইয়ে ভাসুর হত্যার ১৮ বছর পর আসামি রহিমা বেগম গ্রেফতার

র্যাব-৭ ফেনী অবশেষে আটক করলো মিরসরাইয়ে আপন ভাসুরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রহিমা বেগম (৬০)। দীর্ঘ ১৮ বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি।

সোমবার (১৯ জুন) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার লক্ষীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রহিমা বেগম (৬০) মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার মরগাং এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

র‌্যাব-৭-এর ফেনী কোম্পানি কমান্ডার মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, জায়গা-জমি বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ৫ নভেম্বর ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম ভাসুর আবুল কালামকে (৫২) সুকৌশলে পাতাকোট এলাকায় ডেকে নেয়। এরপর বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে পাশের নির্জন স্থান পুকুরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে পুকুরে লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করলে আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লাশটি তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন। হত্যার ঘটনায় আবুল কালামের স্ত্রী আনেয়ারা বেগম মিরসরাই থানায় দু’জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামি রহিমা বেগম (৬০) আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। আসামি রহিমা বেগম দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই আসামির অনুপস্থিতিতে আবুল কালামকে (৫২) হত্যার দায়ে রহিমা বেগম (৬০) এবং তার স্বামী নুর মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালামকে (৫২) নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে তিনি মাদককারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যান।

গ্রেফতার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাইফ-এর উদ্যোগে ইউএনও রিগ্যান চাকমাকে হৃদয়বিদারক বিদায়ী সংবর্ধনা

মিরসরাইয়ে ভাসুর হত্যার ১৮ বছর পর আসামি রহিমা বেগম গ্রেফতার

Update Time : 08:21:00 pm, Wednesday, 21 June 2023

র্যাব-৭ ফেনী অবশেষে আটক করলো মিরসরাইয়ে আপন ভাসুরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রহিমা বেগম (৬০)। দীর্ঘ ১৮ বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি।

সোমবার (১৯ জুন) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার লক্ষীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রহিমা বেগম (৬০) মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার মরগাং এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

র‌্যাব-৭-এর ফেনী কোম্পানি কমান্ডার মো: সাদেকুল ইসলাম জানান, জায়গা-জমি বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ৫ নভেম্বর ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম ভাসুর আবুল কালামকে (৫২) সুকৌশলে পাতাকোট এলাকায় ডেকে নেয়। এরপর বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে পাশের নির্জন স্থান পুকুরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে পুকুরে লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করলে আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লাশটি তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন। হত্যার ঘটনায় আবুল কালামের স্ত্রী আনেয়ারা বেগম মিরসরাই থানায় দু’জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামি রহিমা বেগম (৬০) আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। আসামি রহিমা বেগম দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই আসামির অনুপস্থিতিতে আবুল কালামকে (৫২) হত্যার দায়ে রহিমা বেগম (৬০) এবং তার স্বামী নুর মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালামকে (৫২) নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন লক্ষীপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে তিনি মাদককারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যান।

গ্রেফতার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।