উপ-মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও সুবিখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সম্পন্ন হওয়া ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিষ্ণুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, “কোরআন বুকে ধারণ করা আলেম-উলামার উপর যারা জুলুম-অত্যাচার করে ও জেলে পাঠায়, তারা কোরআন থেকে দূরে থাকার কারণেই এগুলো করে। কোরআনের আদর্শ তাদের ভিতরে থাকলে, তারা কখনোই এমন করতে পারতো না। সুতরাং শান্তি, ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় এবং সফলতা অর্জনে অবশ্যই কোরআনের আলোকে সবাইকে চলতে হবে।”
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটির বিগত শিক্ষাবর্ষে (১৪৪৩-৪৪ হি.) দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ আড়াই হাজার তরুণ আলেমকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত সম্মানসূচক পাগড়ি প্রদান করা হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষ ইচ্ছায়- অনিচ্ছায় নানা রকমের গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। এসব গুনাহের মূল কারণ হিসেবে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। নবী করিম (সা:) ইরশাদ করেছেন, দুনিয়ার মোহই সকল গুনাহের মূল’। সুতরাং দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে পরকালমুখি হতে পারলে সহজেই আল্লাহর নাফরমানি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা মুফতি আহমাদুল্লাহ, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, আল্লামা সাজেদুর রহমান,
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ওসমান ফয়জী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, ড. আফম খালিদ হোসেন, মাওলানা মুশতাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ আজহারী ও মাও. বদরুল আলম হামিদী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক (সাবেক) আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো এ মাদ্রাসার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। বার্ষিক সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বহু উলামায়ে কেরাম তসরিফ আনান বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ।
মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী 



















