দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ ( বায়েজিদ আংশিক) হাটহাজারী আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ । এ আসনে মোট প্রার্থী ছিলো ৮ জন। এদের মধ্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (নাঙ্গল প্রতীক) মোট ৫০ হাজার ৯ শ ৭৭ টি ভোট পেয়েছেন । স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি প্রতীক) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২ শ ৫১ ভোট। প্রগতি শীল গনতান্ত্রিক ফোরামের মোঃ নাজিম উদ্দীন প্রকাশ ভিপি নাজিম (সোনালী আঁশ প্রতীক) (পাট) মোট ভোট ১ হাজার ৪ শ ১ ভোট ভোট। ইসলামি ফ্রন্ট এডভোকেট মোক্তার আহাম্মদ সিদ্দিকী (মোমবাতি প্রতীক) ৬ হাজার ৮ শ ৩১ ভোট। ইসলামীক ফ্রন্ট (চেয়ার প্রতীক) ৬ শ ৯১ ভোট। সুপ্রীম পার্টি (একতারা প্রতীক) কাজী মহসিন চৌধুরী ৮ শ৭২ ভোট। স্বতন্ত্র (প্রার্থী ঈগল প্রতীক) নাসিম হায়দার করিম বাবুল। ৪শ ৮০ ভোট। বিএন এফ এর (টেলিভিশন প্রতীকের) প্রার্থী আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মোট ভোট ৬৫ ভোট। এই আসনে ১শ ৪৬ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলো ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭ শ ১৩ জন। এখানে বাতিল হয় মোট ১ হাজার ৩ শ ৯০ টি ভোট। কাস্টিং ভোটের হার ছিলো ২৩’৭৯ টি।

এই আসনে নাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ কে বেসরকারি ভাবে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তিনি তাঁর নিকটতম কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কাছ থেকে ১৪ হাজার ৭শ ২৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ জন। তারমধ্য ১টি পৌরসভা, ২টি সিটি করপোরেশন ও ১৪ টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮১১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯০১ জন। অন্যদিকে বায়েজিদ আংশিক সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড পুরো এবং ২ নং বাযেজিদ এলাকার আংশিকের ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ হাজার ৩২৪ এবং নারী ভোটার ৬০ হাজার ৮৭০ জন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিলো হাটহাজারীতে ১০৬ টি এবং বায়েজিদ আংশিকে ৪০ টিসহ মোট ১৪৬ টি। অন্যদিকে ভোটকক্ষ ছিলো হাটহাজারীতে ৭২১ টি স্থায়ী এবং ৭৩ টি অস্থায়ী। বায়েজিদ আংশিকে ভোটকক্ষ ছিলো স্থায়ী ২২৩ টি, অস্থায়ী ৪৪ টি।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাটহাজারীর বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান দৈনিক আজাদী কে বলেন, হাটহাজারীতে সবগুলো কেন্দ্রে মোট ১৪৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৯২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সে হারে পোলিং অফিসার কাজ করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে মাঠে কাজ করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য , সেনাবাহিনী, র‍্যাবসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য, আনসার ব্যাটেলিয়ন এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করে বলে জানান উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান।