চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।কিছু দিন পরপর ডাকাতির ঘটনা ঘটায় জনমনে চাপা আতংক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বড়দারেগার হাট উত্তর ফেদাইনগর গ্রামে একুশে টেলিভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌসসহ একরাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসের বাড়ির কেয়ারটেকার মো: রফিক মিয়া জানান, রাত ৩টার দিকে ৭-৮ জনের সশস্ত্র দল তাকে বেধে মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের তালা ভেঙ্গে আলামারী খুলে লুটপাট চালায়। অবশ্য এ সময় বাড়িতে সাংবাদিকের পরিবারের কেউ ছিলেননা।সকালে তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করেন।
সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমার বাড়ির কেয়ারটেকারকে বেধে রেখে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাতদল পুরো ঘরে তান্ডব চালিয়েছে। আমি সকালে এসে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাই। একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
পরে ডাকাত দল পার্শ্ববর্তী আমান উল্লাহ মেম্বার ও নাদেরুজ্জামানের বাড়িতে লুটপাট করে। সেখানেও তারা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে আশু টেন্ডলের বাড়ির আব্দুল মন্নানের ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা আলমিরা খুলে তিন ভরি সোনা, নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমান উল্লাহ মেম্বার বাড়ির আবুল কালাম আজাদ জানান, ডাকাত দলের সবাই হাফপ্যান্ট ও মুখে মাস্ক লাগানো ছিলো। তাদের মুখের ভাষা শুনে ভিন্ন জেলার মনে হয়েছে, তবে এটা তাদের কৌশলও হতে পারে। ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী সকল ডাকাতির ঘটনায় তাদের পোশাক ও ভাষাগত মিল পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিনকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি সাড়া দেননি।