সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাঙালি মাঝির বাড়ি মৃত আবুল আলাম প্রকাশ লেদুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম( ৪৯) দীর্ঘ দিন যাবৎ একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য এ দরজা থেকে ঐ দরজা ঘুরাঘুরি করে আজ ও কার্ড পান নি। তার পরনে ছেঁড়া কাপড়, ঘরে বেড়া নেই, চোখে মুখে অপুষ্টির চিহ্ন। অপরের কাছে হাত পেতে কোনোমতে জীবন যুদ্ধে টিকে আছেন অসহায় ও হতদরিদ্র এক অশীতিপর বিধবা মহিলা ফিরোজা।
২০১৭ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসার মারা যান কৃষক স্বামী আবুল আলাম । ভিটেবাড়ি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। ভিটেবাড়ি যেটি আছে সেটি থেকে আবুল আলামের অন্য সংসারের ছেলে তাড়িয়ে দেয় তাকে। ব্যাক্তি জীবনের ফিরোজার কোন ছেলে মেয়ে নেই, এ পৃথিবীতে এখন তার কোন স্বজন নেই।
মানুষের কাছে হাত পেতে কোনো মতে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছে সে। বর্তমানে ফিরোজা বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতা বা ১০ টাকা দামের চাউলের কার্ড কোনোটাই তার ভাগ্যে জোটেনি। বিভিন্ন সময়ে ইউপি সদস্য তাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা গুড়েবালি। ফিরোজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ৭ বছর ধরে নারী (বিধবা) হলাম, মরার পর ভাতা দিয়ে কি করব। আমি এখন বেচে থাকার জন্য চেয়ারম্যান বা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত হারামিয়া ইউনিয়নের সমাজকর্মী মাকছুদ রহমান বলেন এটা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জেনে নিতে, অনলাইনে আবেদন করে নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে করে চেয়ারম্যান মাধ্যম হয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রেরণ করতে হবে।