চট্টগ্রাম 9:40 pm, Sunday, 3 August 2025

সেনা বাহিনীর সহায়তায় দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মস্থলে ফিরেছে

সেনা বাহিনীর সহায়তায় দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁদের কর্মস্থলে ফিরেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর পরই দেশের বিভিন্ন স্থানের থানা ভাংচুর ও হামলা হয়। দোহার নবাবগঞ্জের দুটি থানায়ও ব্যাপক ভাংচুর হয়। ভয়ে সোমবার বিকালেই পুলিশ সদস্যরা নিরাপদে আশ্রয় নেয়। ফলে জনমনে আতংক ও ভয় বিরাজ করে।

শুক্রবার সেনাবাহিনী নবাবগঞ্জ কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁদের ক্যাম্প স্থাপন করে। এরপর থেকেই জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। এছাড়া বাস, সিএনজি, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে।

অপরদিকে মার্কেট, হাট বাজারের দোকান পাট ও ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ থানায় পুলিশ সদস্যরা আসতে শুরু করেছে। তবে এখনো তাঁরা কোনা কাজ শুরু করেনি। থানা গেটে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা পাহারায় রয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহ জালাল বলেন, থানার অনেক জিনিসিপত্র ও গাড়ী নষ্ট হয়েছে। এসব ঠিক করে কাজ করতে সময় লাগবে। তিনি আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

আজও সকাল থেকে রাস্তায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ছাত্ররা বলেন, জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা মাঠে থাকবেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন রাস্তা ও হাট বাজারে টহল অব্যাহত রেখে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর ইফতেখার জানান। তিনি বলেন, রোববার তাঁরা সকল আইনশৃংখলা বাহিনী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধী সমাজ নিয়ে সভা করবেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকল মহলের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনা বাহিনীর সহায়তায় দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মস্থলে ফিরেছে

Update Time : 01:25:35 am, Sunday, 11 August 2024

সেনা বাহিনীর সহায়তায় দোহার ও নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁদের কর্মস্থলে ফিরেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর পরই দেশের বিভিন্ন স্থানের থানা ভাংচুর ও হামলা হয়। দোহার নবাবগঞ্জের দুটি থানায়ও ব্যাপক ভাংচুর হয়। ভয়ে সোমবার বিকালেই পুলিশ সদস্যরা নিরাপদে আশ্রয় নেয়। ফলে জনমনে আতংক ও ভয় বিরাজ করে।

শুক্রবার সেনাবাহিনী নবাবগঞ্জ কোকিলপ্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁদের ক্যাম্প স্থাপন করে। এরপর থেকেই জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। এছাড়া বাস, সিএনজি, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে।

অপরদিকে মার্কেট, হাট বাজারের দোকান পাট ও ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ থানায় পুলিশ সদস্যরা আসতে শুরু করেছে। তবে এখনো তাঁরা কোনা কাজ শুরু করেনি। থানা গেটে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা পাহারায় রয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহ জালাল বলেন, থানার অনেক জিনিসিপত্র ও গাড়ী নষ্ট হয়েছে। এসব ঠিক করে কাজ করতে সময় লাগবে। তিনি আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

আজও সকাল থেকে রাস্তায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ছাত্ররা বলেন, জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা মাঠে থাকবেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন রাস্তা ও হাট বাজারে টহল অব্যাহত রেখে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর ইফতেখার জানান। তিনি বলেন, রোববার তাঁরা সকল আইনশৃংখলা বাহিনী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধী সমাজ নিয়ে সভা করবেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকল মহলের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হবে।