ম গত পাঁচ দিন থেকে সাড়া দেশের ন্যায় সন্দ্বীপে ও শুরু হয়েছে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ । থমকে গেছে বিভিন্ন স্হানে এলাকাবাসির দৈনন্দিন কাজ কর্ম।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন, সেইসাথে বিপাকে গবাদিপশু পালন কারিরাও। এছাড়া অফিস আদালতের কর্মকর্তা সহ শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
এদিকে ভারি বর্ষণের ফলে আগাম শীতকালীন সবজি সহ মরিচ, বেগুন ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অন্য দিকে অফিস গুলোতে লোকজনের উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে।
ভারী বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে বহু আমন ধানের জমি। তলিয়ে গেছে শাকসবজির মাঠ। এছাড়াও আগাম শীতকালীন সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
গতকাল সকাল থেকে সন্দ্বীপের পশ্চিম মাইটভাংগা সারিকাইত, মগধরা, মুছাপুর, পৌরসভা, আমানউল্লাহ সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে বাড়ি ঘর খাল নালা ডুবে রয়েছে, মানুষের চলাচলে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ,আলু, মাসকালাই, ও শাকসবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে, দ্রুত ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশন না হলে পুরো ক্ষেতের সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে। সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান ভারি বর্ষণে ৮২০০ হেক্টর আউশ ধান, ১২০১০ হেক্টর আমন ধান, ৪১৫ হেক্টর শাক সবজি, আমন বীজধান, ক্ষতি গ্রাস্ত হয়েছে, এছাড়া আউশধান ৬০ হেক্টর, আমনধান ১২০ হেক্টর, শাকসবজি ১১০ হেক্টর, আমন বীজধান ৭০ হেক্টর পানিতে একেবারে নিমজ্জিত হয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় উপজেলায় বৃষ্টি পাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে ১২৯মিলিমিটার। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৮.৪ মিলিমিটার, গত ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টি হয়েছে ১৯৭ মিলিমিটার, যা এই চলতি বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন, সন্দ্বীপ উপজেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ আহম্মেদ ।