চট্টগ্রাম 2:51 am, Friday, 8 August 2025

রাঙ্গুনিয়ায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গাউছিয়া সমিতির শোভাযাত্রা

গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পোমরা ইউনিয়ন শাখার যৌথ উদ্যেগে পবিত্র জশনে জুলুস-এ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলুসে নেতৃত্ব দেন ফটিকছড়ি সৈয়দ বাড়ি দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা (ম.জি.আ)।

জুলুসটি রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বুড়ির দোকান থেকে শুরু হয়ে কাপ্তাই সড়কের শান্তিরহাট, গোচরা ও জুটমিল এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ শেষে পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন গাউছিয়া যুব সমিতির কেন্দ্রীয় চেয়্যারম্যান আল্লামা সৈয়দ তাওছিফুল হুদা (ম.জি.আ)। বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা গাউছিয়া সমিতির সভাপতি জাহেদুল আলম চৌধুরী, জুলুছ পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক দিদারুল আলম, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলী শাহ নেছারী, গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশ পোমরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা সাইফুল আলম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মৌলানা হাবিবুর রহমান, মৌলানা ইয়াকুব আলী, মৌলানা আবদুল মন্নান হারুণী, মৌলানা আবু মুসা আশয়ারী, মাওলানা শওকত আলী, মৌলানা ফজলুল করিম নঈমী, মাওলানা আবদুল গফুর, মাওলানা আবু জাফর প্রমুখ।

এদিকে জুলুস উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে গাউছিয়া সমিতির কর্মীরা পোমরা বুড়ির দোকান এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। দশটার দিকে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে জুলুসটি শুরু করা হয়। জুলুসে অংশ নেওয়া সুন্নী জনতার হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, গাউসিয়া সমিতির পতাকা, বিভিন্ন আহবান সম্বলিত প্লে—কার্ড, ফেস্টুন ছিলো।

এ সময় অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মোস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম ইত্যাদি হামদ—না’তে রাসূল (দ.), নারায়ে তকবির— আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত— ইয়া রাসুলাল্লাহ (দ.) নানা স্লোগানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আশেপাশের এলাকা। পরে সমাবেশ শেষে মিলাদ, ক্বিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে বিশেষ দোয়া করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

হাটহাজারীতে ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫২তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

রাঙ্গুনিয়ায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গাউছিয়া সমিতির শোভাযাত্রা

Update Time : 09:13:42 pm, Sunday, 8 September 2024

গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও পোমরা ইউনিয়ন শাখার যৌথ উদ্যেগে পবিত্র জশনে জুলুস-এ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলুসে নেতৃত্ব দেন ফটিকছড়ি সৈয়দ বাড়ি দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা (ম.জি.আ)।

জুলুসটি রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বুড়ির দোকান থেকে শুরু হয়ে কাপ্তাই সড়কের শান্তিরহাট, গোচরা ও জুটমিল এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ শেষে পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন গাউছিয়া যুব সমিতির কেন্দ্রীয় চেয়্যারম্যান আল্লামা সৈয়দ তাওছিফুল হুদা (ম.জি.আ)। বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা গাউছিয়া সমিতির সভাপতি জাহেদুল আলম চৌধুরী, জুলুছ পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক দিদারুল আলম, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলী শাহ নেছারী, গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশ পোমরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা সাইফুল আলম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মৌলানা হাবিবুর রহমান, মৌলানা ইয়াকুব আলী, মৌলানা আবদুল মন্নান হারুণী, মৌলানা আবু মুসা আশয়ারী, মাওলানা শওকত আলী, মৌলানা ফজলুল করিম নঈমী, মাওলানা আবদুল গফুর, মাওলানা আবু জাফর প্রমুখ।

এদিকে জুলুস উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে গাউছিয়া সমিতির কর্মীরা পোমরা বুড়ির দোকান এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। দশটার দিকে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে জুলুসটি শুরু করা হয়। জুলুসে অংশ নেওয়া সুন্নী জনতার হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, গাউসিয়া সমিতির পতাকা, বিভিন্ন আহবান সম্বলিত প্লে—কার্ড, ফেস্টুন ছিলো।

এ সময় অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মোস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম ইত্যাদি হামদ—না’তে রাসূল (দ.), নারায়ে তকবির— আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত— ইয়া রাসুলাল্লাহ (দ.) নানা স্লোগানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আশেপাশের এলাকা। পরে সমাবেশ শেষে মিলাদ, ক্বিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে বিশেষ দোয়া করা হয়।