চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার ছাত্র হত্যা মামলায় হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমানে এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৬ আদালতের বিচারক নুরুল হারুন পুলিশের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রবিউল ইসলাম ২০২১ সালের মার্চে হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। হাটহাজারী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সমাপনী (২০২১ সালের) পরীক্ষার্থী রবিউল কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের মুন্সির হাট বলা গ্রামের বাসিন্দা।
হাটহাজারী থানার ওসি হাবিবুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রফিকুল ইসলাম ঢাকার উত্তরায় এপিবিএনের সদর দফতরে এএসপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। হাটহাজারী থানার একটি মামলায় গেল গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করে হাটহাজারীতে নিয়ে আসা হয়। আজ (শুক্রবার) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করার পর পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানা এলাকার মোহাম্মদ আলী খানের ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল হয়। ওই দিন হাটহাজারী সদরেও বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে পুলিশের গুলিতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ রবিউল ইসলাম নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট নিহত রবিউল ইসলামের বাবা আবদুল জব্বার বাদী হয়ে তৎকালীন হাটহাজারী মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন- তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, হাটহাজারী সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেনসহ অনেকে।