সীতাকুণ্ডে গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর,২০২৪ সীতাকুণ্ড উপজেলায় গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ক প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
সীতাকুন্ড ইপসা এইচআরডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ফল ও সবজির আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক “কৃষক প্রশিক্ষণ” এ অংশগ্রহণকারীদের মাঝে প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়।
সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রায় ৩০ জন কৃষক প্রতিনিধি এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প” এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোহছেনা আক্তার এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
“গ্রামে শান্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই মিলে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কিত প্রচারণা এবং এ সম্পর্কিত একটি নাটক প্রদর্শণী করা হয়। স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রণয়ণ করেন।
২০১৩ ও ২০২৪ সালে এ আইনটি সংশোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। গ্রামীণ ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ বিবাদ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। গ্রামের সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি নামমাত্র ফিস দিয়ে (দেওয়ানী মামলার ফিস ২০টাকা, ফৌজদারী মামলার ফিস ১০ টাকা) গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে।
এ আদালতে প্রতিটি মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু হতে নিস্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের জন্য গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ফরমস ও রেজিস্টার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার বিষয়টি কৃষকদের সাথে আলোচনা করা হয়।
উক্ত আয়োজনে সঞ্চালক ছিলেন ইপসা আরএমটিপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন দেবনাথ,এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এ এস এম হারুনর রশীদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হৈমন্তি বড়ুয়া, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা (পোকামাকড়), এস.এম. কামরুল হাসান চৌধুরী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রোগতত্ত্ব), ইপসা সীতাকুণ্ড এরিয়া ম্যানেজার তোফায়েল হোসেন প্রমুখ।