চট্টগ্রাম 6:50 pm, Wednesday, 2 July 2025

দুর্বার’র বপনকৃত ধানের চারা পেলেন একশ কৃষক

বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষি ও কৃষকের। বানের জলে ভেসে যায় আমন ধানের প্রায় অধিকাংশ বীজতলা। দু:শ্চিন্তায় কৃষকের মাথায় উঠে হাত। বন্যা পরবর্তী ধানের চারার তীব্র সংকট দেখা দিবে অনেকটা নিশ্চিত ভেবে, এগিয়ে আসেন মমীরসরাই উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা দুর্বার প্রগতি সংগঠন ও কৃষি উন্নয়ন সংগঠন পত্র পল্লব। ‘দূর্যোগে ঐক্য গড়ি- কৃষিতে স্বপ্ন বুনি’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রম ও স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় তারা মীরসরাইয়ের মিঠানালা ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের পঁচিশ শতক জমিতে বপন করেন বিআর-২২ জাতের ষাট কেজি আমন ধানের বীজ। নিবিড় পরিচর্যায় বীজতলায় দীর্ঘ এক মাস পর চারা পরিণত হলে, ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুর্বার প্রাঙ্গনে স্থানীয় একশ কৃষকের মাঝে চারাগুলো বিতরণ করা হয়। দুর্বার’র বিতরণকৃত ধানের চারা প্রায় ছয় একর জমিতে লাগানো যাবে। চারা বিতরণ কার্যক্রমে এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্বার সদস্য, শুভাকাঙ্খী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও স্থানীয় কৃষক বৃন্দ।

ধানের চারা নিতে আসা কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- ‘দুর্বার’র ধানের চারা পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। খালি পড়ে থাকা কিছু জমি অন্তত চাষ করা যাবে।’ কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন- ‘এবারের বন্যায় দুর্বার’র সদস্যরা আমাদের ধানের চারা দিয়েছে। আমরা তাতে অনেক খুশি-তাদের এ উদ্যোগে।’

সংগঠনের সভাপতি রিপন কুমার দাশ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন ‘কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে অবদান রাখতে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর। সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ- সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন- ‘এবারের বন্যায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বার প্রান্তিক কৃষকদের চার বিতরণে তারা উপকৃত হয়েছে। আমি দুর্বার’র মত সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।’

দুর্বার’র ধানের চারা বিতরণ প্রকল্পে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছেন আমেরিকা প্রবাসী আবু জাহেদ।

উল্লেখ্য যে, ২১ আগস্ট থেকে ভয়াবহ বন্যায় দুর্বার’র স্বেচ্ছাসবীরা পানি বন্দি মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছানো, রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার, স্যালাইন, ঔষুধ বিতরণ ও পুর্নবাসন সহ প্রায় ছয় হাজার মানুষদের সেবা প্রদান করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীতাকুণ্ডে বন কেটে গড়ে ওঠা কোহিনূর শিপইয়ার্ডে আবারও উচ্ছেদ অভিযান

দুর্বার’র বপনকৃত ধানের চারা পেলেন একশ কৃষক

Update Time : 09:42:36 pm, Saturday, 28 September 2024

বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষি ও কৃষকের। বানের জলে ভেসে যায় আমন ধানের প্রায় অধিকাংশ বীজতলা। দু:শ্চিন্তায় কৃষকের মাথায় উঠে হাত। বন্যা পরবর্তী ধানের চারার তীব্র সংকট দেখা দিবে অনেকটা নিশ্চিত ভেবে, এগিয়ে আসেন মমীরসরাই উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা দুর্বার প্রগতি সংগঠন ও কৃষি উন্নয়ন সংগঠন পত্র পল্লব। ‘দূর্যোগে ঐক্য গড়ি- কৃষিতে স্বপ্ন বুনি’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রম ও স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় তারা মীরসরাইয়ের মিঠানালা ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের পঁচিশ শতক জমিতে বপন করেন বিআর-২২ জাতের ষাট কেজি আমন ধানের বীজ। নিবিড় পরিচর্যায় বীজতলায় দীর্ঘ এক মাস পর চারা পরিণত হলে, ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুর্বার প্রাঙ্গনে স্থানীয় একশ কৃষকের মাঝে চারাগুলো বিতরণ করা হয়। দুর্বার’র বিতরণকৃত ধানের চারা প্রায় ছয় একর জমিতে লাগানো যাবে। চারা বিতরণ কার্যক্রমে এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্বার সদস্য, শুভাকাঙ্খী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও স্থানীয় কৃষক বৃন্দ।

ধানের চারা নিতে আসা কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- ‘দুর্বার’র ধানের চারা পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। খালি পড়ে থাকা কিছু জমি অন্তত চাষ করা যাবে।’ কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন- ‘এবারের বন্যায় দুর্বার’র সদস্যরা আমাদের ধানের চারা দিয়েছে। আমরা তাতে অনেক খুশি-তাদের এ উদ্যোগে।’

সংগঠনের সভাপতি রিপন কুমার দাশ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন ‘কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে অবদান রাখতে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর। সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ- সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন- ‘এবারের বন্যায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বার প্রান্তিক কৃষকদের চার বিতরণে তারা উপকৃত হয়েছে। আমি দুর্বার’র মত সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।’

দুর্বার’র ধানের চারা বিতরণ প্রকল্পে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছেন আমেরিকা প্রবাসী আবু জাহেদ।

উল্লেখ্য যে, ২১ আগস্ট থেকে ভয়াবহ বন্যায় দুর্বার’র স্বেচ্ছাসবীরা পানি বন্দি মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছানো, রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার, স্যালাইন, ঔষুধ বিতরণ ও পুর্নবাসন সহ প্রায় ছয় হাজার মানুষদের সেবা প্রদান করে।