ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌরসদরে সিডিএম পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নুরুল আলম (৭৫) নামে একজনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন । এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামমুখী অংশের মিরসরাই পৌর সদরের মীর মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, এরিস্টোফার্মার মার্কেটিং অফিসার রসুল আহমেদ (৩২), নসিমনের চালক সাগর (২৫) ও তার সহকারি আশিষ কুমার দে (২৭)।
নিহত নুরুল আলম সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর ইদিলপুর এলাকার মৃত জালাল আহমেদের ছেলে। তার দুই ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। নুরুল আলম পেশায় একজন শীল-পাটা বিক্রেতা।
প্রত্যক্ষদর্শী কুদ্দুস মিয়া জানান, সন্ধ্যায় মীর সাহেবের মাজারের সামনে চট্টগ্রামমুখী সিডিএম পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৪১৬৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেল, নসিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টেনে-হিঁছড়ে ৫০ ফুট সামনে কলেজ রোডের মুখে নিয়ে যায়। এ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী নুরুল আলম (৭৫) নামে এক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিতত নুরুল আলমের ছেলে ইকবাল হোসেন বলেন, মিরসরাই পৌরসভার হার্ডওয়্যার দোকানদার নবী সওদাগর সন্ধ্যায় কল দিয়ে জানায়, গাড়ি চাপায় বাবার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা দ্রুত মিরসরাই আসি।
তিনি বলেন, আমার বাবা সৎ পথে উপার্জন করার জন্য কষ্ট করে নিজে তৈরি করে শীল-পাটার ব্যবসা করতেন। বিগত দুই বছর আগে বাবা-মা একসঙ্গে হজ্ব করেছিলেন। বাবা এভাবে আমাদের থেকে বিদায় নিবেন তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রসুল আহমেদের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সাগর ও আশিষ কুমার দে’কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন বলেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা মোটরসাইকেল, নসিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টেনে-হিঁছড়ে প্রায় ৫০ ফুট সামনে নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো ও লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।