চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ীবহরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন(৮২)কে প্রধান আসামী করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জোরারগঞ্জ থানায় বারিয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাাদক দিদারুল আলম মিয়াজী বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন মোশাররফ পুত্র সাবেক এমপি মাহবুব রহমান রুহেল (৫৫)(চট্টগ্রাম -১), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন(৪৫), বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন(৫২), উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া(৪৫) মীর আলম মাসুক(৭০), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাাদক ইব্রাহিম ভূঁইয়া, সোনামিয়া চেয়ারম্যান (৫৫) ভিপি নিজাম উদ্দিন (৫২)শাখাওয়াত রিপন (৫২)সহ ৪২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর সকাল ১০.৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার পথে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর খান সিটি সেন্টার,রোজিনা হোটেল, বারিয়ারহাট, জোরারগঞ্জ রাস্তার মাথা থেকে চৈতন্যের হাট এলাকা অতিক্রম করার সময় উক্ত প্রধান আসামী সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক এমপি মাহবুব রহমান রুহেলের সহযোগীতায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১০০/১২০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র দা চুরি রামদা নিয়ে দফায় দফায় ৃহামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ওই সময় এ ঘটনায় থানায় মামলা সরকারের অনুসারীদের ভয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টাে উপজলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
বাদী দিদারুল আলম মিয়াজী- বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় আসামীরা বেগম জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা করেছে। এদের দ্রুত গ্রেফতার করে দুষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এ টি এম শিফাতুল মাজদার জানান, ‘বিএনপির খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে দিদারুল আলম মিয়াজী মামলা করেছেন। মামা নং -১২। এ মামলায় এজাহারনামীয় আরিফুর রহমান নাঈম নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।