চট্টগ্রাম 10:21 pm, Wednesday, 13 August 2025
দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

ছাত্রদল ও আ.লীগ নেতা মিলে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ; আদালতে মামলা

হাটহাজারীর আবদুল হালিম এবং শাহনেওয়াজ মুন্না নামের আ.লীগ ও বিএনপি দুই নেতাসহ চার জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও অপহরন করে মুক্তিপণ আদায় করার দায়ে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে।

গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি করা হলেও শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, হাটহাজারী থানার পশ্চিম ছড়ারকুল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে হাটহাজারী থানাধীন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ও ছড়ারকুল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম, পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ মুন্না (৩০) দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তুহিন (৩০) ও পুলের গোড়া শেখ রাসেল ক্লাবের সদস্য জুবায়ের (২৬)।

জানা যায়, জমির সীমানা প্রাচীরের কাজ করার সময় ছাত্রদল নেতা ও আওয়ামী লীগের নেতা মিলে মোহাম্মদ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে অভিযুক্তরা ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এবং মুক্তিপণ আদায় করে।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ঘটনার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিয়ার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টাকা না পেয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আলিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি ও অপহরণের সঙ্গে আমি জড়িত নয় এবং ঘটনারদিন ঘটনাস্থলেও আমি ছিলাম না। মূলত আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। আমার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের দায়িত্বশীলরা বলেন, মামলার বাদী তাদের নিকট অভিযোগ দিলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্রেন্ড সার্কেল ব্লাড ব্যাংক মিরসরাই’র ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প

দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

ছাত্রদল ও আ.লীগ নেতা মিলে ব্যবসায়ীকে অপহরণ ; আদালতে মামলা

Update Time : 08:44:01 am, Saturday, 2 November 2024

হাটহাজারীর আবদুল হালিম এবং শাহনেওয়াজ মুন্না নামের আ.লীগ ও বিএনপি দুই নেতাসহ চার জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও অপহরন করে মুক্তিপণ আদায় করার দায়ে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে।

গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি করা হলেও শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, হাটহাজারী থানার পশ্চিম ছড়ারকুল এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে হাটহাজারী থানাধীন দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ও ছড়ারকুল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম, পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ মুন্না (৩০) দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তুহিন (৩০) ও পুলের গোড়া শেখ রাসেল ক্লাবের সদস্য জুবায়ের (২৬)।

জানা যায়, জমির সীমানা প্রাচীরের কাজ করার সময় ছাত্রদল নেতা ও আওয়ামী লীগের নেতা মিলে মোহাম্মদ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে অভিযুক্তরা ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এবং মুক্তিপণ আদায় করে।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ঘটনার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিয়ার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টাকা না পেয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আলিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি ও অপহরণের সঙ্গে আমি জড়িত নয় এবং ঘটনারদিন ঘটনাস্থলেও আমি ছিলাম না। মূলত আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। আমার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের দায়িত্বশীলরা বলেন, মামলার বাদী তাদের নিকট অভিযোগ দিলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।