মহাত্মা গান্ধি শান্তি পুরস্কারের পর সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্যে এবার সাউথ এশিয়া বিজনেজ এন্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন মহসিন–ফাতেমা সিদ্দিকী যুবকল্যাণ ফাউন্ডেশন (এমএফজেএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সীতাকুণ্ডের সিদ্দিকী পরিবারের কৃতি সন্তান আহমদ আরমান সিদ্দিকী।
১২মে ২০২৩ শুক্রবার বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমুণ্ডুর থামেলের ম্যানহ্যান্ডি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে আরমান সিদ্দিকী এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
নেপাল-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ সোসাইটি এবং সাউথ এশিয়া বিজনেজ পার্টনারশিপ এর যৌথ উদ্যোগে “Nepal- A discussion titled “Nepal-Bangladesh Commercial and Tourism Industry Development শীর্ষক আলোচনা, সাউথ এশিয়া বিজনেজ এন্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এবং আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
নেপাল-বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজক। নেপালের মন্ত্রীসভার সদস্য, সচিব, বিচারক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ,কবি ,লেখক ও সাংবাদিকেরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশী প্রতিভাবান ১০ ব্যক্তিত্ব এ অনুষ্ঠানে পুরষ্কৃত হবেন-যাদের মধ্যে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন এমএফজেএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা আহমদ আরমান সিদ্দিকী। মহাত্মা গান্ধি শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছিলো তাঁরই হাতেগড়া সংগঠন এমএফজেএফ। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতার চৌরঙ্গী রোডের রোটারি সদন অডিটরিয়ামে আযোজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১১ জুলাই সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর দক্ষিণ রহমতনগরে স্থাপিত এমএফজেএফ স্পোকেন ইংলিশ, ক্লিন সীতাকুণ্ড, ক্লিন পতেঙ্গা, নলেজ শেয়ারিং সেশন, রোড টু লাইটসহ নানান ব্যতিক্রমী সামাজিক ও মানবিক সেবাকর্মের মাধ্যমে সীতাকুণ্ডে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বর্তমানে চলমান এসএসসি পরীক্ষাকে ঘিরে এমএফজেএফ এর রোড টু লাইট কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচির আওতায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিন বাসযোগে যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়। সীতাকুণ্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও একই ধরনের পরিবহন সেবা দেয়া হয়। সংগঠনটির ব্যতিক্রমী এ মহতি উদ্যোগ সীতাকুণ্ডের সর্বমহলে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষকরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মনে বিশাল রেখাপাত করেছে। একটি সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠার ১০মাসের মাথায় সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্যে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্তি আসলেই বিরল ঘটনা। সীতাকুণ্ডবাসী এই সংগঠনকে স্বাগত জানিয়ে সীতাকুণ্ড কে আধুনিক সীতাকুণ্ড রুপান্তরের সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলে আশা করছে,ইতিমধ্যে কয়েক হাজার যুবকদের কে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করেছে।