হাটহাজারীতে মো.মামুনুর রশিদ মামুন (৩৭) নামের এক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ.লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-২১।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালের দিকে মামলার বাদী মেখল ইউপি সদস্য, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিকটিম মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, ১-মো.আব্দুল মোমিন (৩৭), পিতা-মৃত আদুল ওহাব, ২- মো.জমির (৪১), পিতা-মৃত বাদশা মিয়া, ৩- মো. রহিম (২৮), পিতা-দুছ মোহাম্মদ প্রকাশ টুইন্না, ৪- মো.নেজাম (২৯), পিতা-নুরুল বশর প্রকাশ বাইশ্যা, ৫- মো.নজরুল (২৪), পিতা-মৃত বজল আহাম্মদ, ৬- মো.খোকন (৪০), পিতা-মৃত এয়ার মোহাম্মদ, ৭- মো.আব্দুল মজিদ (৩৫),পিতা-মৃত আব্দুল ওহাব, সর্ব সাং মেখল, হাটহাজারী,চট্টগ্রাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মেখল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ৩ নং ওয়াড মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মারধরসহ ক্ষতিসাধনের অপচেষ্টা করে আসছিল। সম্প্রতি হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নস্থ ইছাপুর বাজারটি ভিকটিমসহ মেখল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওসমান দুজনে মিলে সরকারীভাবে ইজারা নেন। বাজারটি ইজারা নেওয়ার আগে এবং পর থেকে ০১ নং বিবাদী মোমিন ভিকটিম মামুনুর রশিদের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে । চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীগণ ভিকটিমকে সময় সুযোগ মতো দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় । এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে ঘটনারদিন বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মেখল ইউপির ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য ভিকটিম মামুন পরিষদের কাজকর্ম শেষে নিজের বাইক নিয়ে বাসায় ফেরার পথে বিবাদীগণ ভিকটিমের পথরোধ করে পুনরায় দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে পুনরায় অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীগণ অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, কিরিছ, লোহার রড দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এসময় বিবাদীগন ভিকটিমের ব্যবহৃত TVS Apache 4V 150 CC মোটর সাইকেলটি ডাংচুর করে।
এদিকে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ৩নং বিবাদী রহিম ভিকটিমের প্যান্টের পিছনের পকেটে থাকা নগদ আঠার হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এসময় ভিকটিম বাঁচার জন্য চিৎকার করলে ০১ নং বিবাদীর নির্দেশে বাকী বিবাদীগণ ভিকটিমকে উপর্যুপুরী আঘাত করে অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায়।
পরে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিম মামুন জানান, বিবাদীগণ এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী এবং ভূমিদস্যু। আর ০১ নং-নিবাদী মো.আব্দুল মোমিন এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলা চলমান আছে।
মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জানান, গতকাল আহত এক ইউপি সদস্যকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে তাকে মাথায় ৪ টি সেলাইসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.এমরান হোসাইন বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, অপরাধীদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।