চট্টগ্রাম 5:16 pm, Friday, 13 September 2024

ঈদুল ফিতরের আগে কারাবন্দি নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দিন – হেফাজত

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে বিনাবিচারে কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ!

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের আমীর প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার যৌথ বিবৃতি থেকে জানা যায়, “২০২১ সালের মার্চে ইণ্ডিয়ার কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, মাদ্রাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হতাহত করা সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেফতার করে জেলে পুরা হয়। যাদের একটা অংশকে বিনা বিচারে এখনো কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।”
.
তাঁরা বলেছেন, “বিনা বিচারে কাউকে বন্দী করে রাখা একটা ‘বিচার বহির্ভুত শাস্তি’। ব্যক্তি, গোষ্ঠি, কোন বাহিনী বা সরকার যেই করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম। যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট বরখেলাপ বা লঙ্ঘন। বিচারবহির্ভুতভাবে আলেম উলামাদেরকে শাস্তি দেওয়ার যে কৌশল সরকার প্রয়োগ করছে, তা চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর পরিচালিত নির্যাতনের সাথে তুলনিয়। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
.
বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে বন্দী সকল আলেম-উলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। তাঁদেরকে আপন পরিবারে ফিরে গিয়ে ঈদ-উৎসব পালনের অধিকার দিন। অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে ওঠছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা দুরহ হয়ে পড়বে। একই সাথে রহমতের মাসে আলেম উলামা ও নির্যাতিত মানুষের অশ্রুঝরা ফরিয়াদ থেকে এমন দুষ্কর্মে জড়িত কেউই আল্লাহর আযাব-গযব ও ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

‘চেয়ার দখল করে বসে থাকার জন্য ক্ষমতায় আসেনি’ হাটহাজারী মাদ্রাসায় উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ

ঈদুল ফিতরের আগে কারাবন্দি নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দিন – হেফাজত

Update Time : 02:54:15 pm, Wednesday, 12 April 2023

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে বিনাবিচারে কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ!

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের আমীর প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার যৌথ বিবৃতি থেকে জানা যায়, “২০২১ সালের মার্চে ইণ্ডিয়ার কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলেম, মাদ্রাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হতাহত করা সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী হেফাজতের শত শত নেতাকর্মী ও আলেমকে গ্রেফতার করে জেলে পুরা হয়। যাদের একটা অংশকে বিনা বিচারে এখনো কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।”
.
তাঁরা বলেছেন, “বিনা বিচারে কাউকে বন্দী করে রাখা একটা ‘বিচার বহির্ভুত শাস্তি’। ব্যক্তি, গোষ্ঠি, কোন বাহিনী বা সরকার যেই করুন না কেন, এটা অপরাধকর্ম। যা বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং বিদ্যমান আইনের স্পষ্ট বরখেলাপ বা লঙ্ঘন। বিচারবহির্ভুতভাবে আলেম উলামাদেরকে শাস্তি দেওয়ার যে কৌশল সরকার প্রয়োগ করছে, তা চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর পরিচালিত নির্যাতনের সাথে তুলনিয়। এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
.
বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবি, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে বন্দী সকল আলেম-উলামা ও হেফাজতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের শর্তহীনভাবে মুক্তি দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। তাঁদেরকে আপন পরিবারে ফিরে গিয়ে ঈদ-উৎসব পালনের অধিকার দিন। অন্যথায় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতি ও বহুমাত্রিক নাগরিক অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেভাবে অস্থির হয়ে ওঠছে, সেখানে দেশের ইসলাম অনুরাগী তৌহিদী জনতাকে শান্ত রাখা দুরহ হয়ে পড়বে। একই সাথে রহমতের মাসে আলেম উলামা ও নির্যাতিত মানুষের অশ্রুঝরা ফরিয়াদ থেকে এমন দুষ্কর্মে জড়িত কেউই আল্লাহর আযাব-গযব ও ক্রোধ থেকে রেহাই পাবেন না।”