বিএনপি ও জামায়াত জোটের ডাকে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ৩ দিন ব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও জলপথে দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচির প্রথম দিন চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে গণপরিবহন শূন্য রয়েছে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু পণ্যবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সিএনজি চালিত অটো চলাচল করতে দেখা যায় । গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে চাকুরীজীবীদের । অনেকে বাস না পেয়ে লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে গন্তব্যে গেছেন। সড়কের মিরসরাইয়ের ধুমঘাট থেকে সীতাকুন্ডের সিটি গেইট পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার এলাকায় মানুষের ভরসা ছোট লেগুনা পরিবহন।
একে খান থেকে মিরসরাই বড় দারোগার হাটে আসা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম রিপন বলেন, একে খান থেকে প্রতিদিন বাসে ৭০/৮০ টাকায় আসি। আজ অবরোধের কারণে বাস না থাকায় বাধ্য হয়ে ছোট গাড়িতে আসতে হয়েছে। সময় লেগেছ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে তিন গুন টাকা। এর কমে আসতে চাইছে না।’
সোমবার রাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, বিজিব টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারে সরকার দলীয় লোকজন অবস্থান নিয়েছে। এ সময় মিরসরাই, জোরারগঞ্জ থানা ও সীতাকুন্ড উপজেলায় পুলিশের সাথে সমন্বয় করেছে বিজিবি। মোতায়েনের পরপর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, রামগড় ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়ন থেকে ২ প্লাটুন বিজিবি মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী তিন দিন অবরোধে মহাসড়কে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কবির হোসেন ও জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন অভিন্ন কন্ঠে জানান, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সোমবার রাত থেকে পুলিশ থানা এলাকায় ডিউটি করছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে মিরসরাই উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি ৮ বিজিবি চট্টগ্রাম থেকে ২ প্লাটুন, ৪৩ রামগড় বিজিবি থেকে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ।