সন্দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষতিসহ বসতঘরে গাছ পড়ে ৪ জন আহত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাড়ে দশ টার দিকে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডেরঘূর্ণিঝড়ে রহমতপুর ইউনিয়ন ০৩ নং ওয়ার্ড, সুখদেব মহাজনের বাড়ির সমর মজুমদারের ঘরে গাছ ও বৈদ্যুতিক খাম্বা চাপা পড়ে, ঘর ভেঙ্গে পড়ে ও ৪ জন লোক মারাত্মক ভাবে আহত হয়। আহতরা হলেন হরিলাল মজুমদার (৭৫), তার স্ত্রী গীতা রাণী মজুমদার (৬৭) তাদের ছেলে, সমর মজুমদার( ৫২), সমর মজুমদারের স্ত্রী পুষ্পে রাণী( ৪৭) ও তার ছেলে অরুপ মজুমদার (১৭) আহত হয় আহতদের প্রথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকালে যখন প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছিল তখন হরিলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী ঘরে ছিলেন। ঘটনার সময় হরিলালের স্ত্রী তার ছেলের স্ত্রী রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আর হরিলাল ও তার ছেলে সমর মজুমদার ছিলেন ঘরের বারান্দায়। এ সময় ঘরের পাশে থাকা দু’টি বড় বড় গাছ টিনের ওপরে পড়লে একই সাথে গাছ বিদ্যুৎ খুটির তারে পড়ে তা সরাসরি হরিলাল ও সমরের মাথায় আঘাত করে।
এদিকে গতকাল সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্হানে গিয়ে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মগধরা ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকার কিছু ঘরবাড়ি (টিনশিট) উড়ে গেছে, গাছুয়া ঘাটমাঝির হাটের পশ্চিমে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে গেছে, আজিমপুর ও কালাপানিয়া ইউনিয়নের অনেক যায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ছুটে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পশ্চিম সারিকাইতের বেড়িবাঁধ বাহিরের পানি প্রবেশ করে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া ও ঝড়ের তাণ্ডবে খুটি ভেঙে তার ছিড়ে বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো উপজেলা। রোববার রাত থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে
উল্লেখ্য: সন্দ্বীপ ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ২১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিসিপির ১৪৬ ইউনিটের ২৯২০ জন সদস্য সেচ্ছাসেবকের কাজ করছে।