চট্টগ্রামের সুধী সমাবেশে বক্তারা:মতিউর রহমান চৌধুরীর ক্যারিশমাটিক চিন্তার প্রতিফলন মানবজমিন।
মানবজমিনের স্লোগান সাংবাদিকতার অস্তিত্বের জানান দেয়। পত্রিকাটি স্লোগান যেমন ব্যতিক্রম, তেমনি আকারেও ব্যতিক্রমধর্মী। মতিউর রহমান চৌধুরী তার ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা মানবজমিনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। মূলত তাঁর ক্যারিশমাটিক চিন্তার প্রতিফলনই হচ্ছে মানবজমিন।দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ২৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রাম ব্যুরো আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সুধী সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মানুষের অনুভূতি আর সময়ের চাহিদা যেকোন পত্রিকার জন্মের কারণ। পত্রিকার কারণেই আমাদের স্বায়ত্তশাসন আর স্বাধিকার স্বাধীনতায় রূপ নিয়েছিল। পত্রিকা মানুষের মানস গঠন করে। যে পত্রিকা মানুষের মন তাদের পাতায় স্থান দেবে, তারাই কালজয়ী হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পত্রিকার জগতে দুজন সাংবাদিক আমূল পরিবর্তন এনেছেন। একজন হলেন শফিক রেহমান তাঁর যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে। অন্যজন হলেন মতিউর রহমান চৌধুরী মানবজমিন পত্রিকার মাধ্যমে। আমরা আশা করবো মানবজমিন মানুষের কথা বলবে, মানুষের জন্য কাজ করবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো একটা দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। এর মধ্যেও মানবজমিনের মতো কয়েকটি পত্রিকা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। সমালোচনা যেমন আছে, জনপ্রিয়তাও আছে। তবে ২৬ বছর ধরে মানবজমিন নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মানবজমিনের সাথে যারা আছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি মানবজমিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এমন অনেক পত্রিকা আছে যেগুলোর বয়স মানবজমিনের দ্বিগুণ। কিন্তু তারা জনগণের হয়ে ভূমিকা পালন করে না। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে তারা ভয় পায়। এক্ষেত্রে মানবজমিন ব্যতিক্রম। মানবজমিন সবসময়ই নিপীড়িত জনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভবিষ্যতেও মানবজমিন জনগণের পক্ষেই অবস্থান নেবে।
মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জালাল রুমির সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান,মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক,চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক পীরজাদা মহরম হোসাইন, চবি সাংবাদিকতা এলামনাই এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হামিদ উল্লাহ, সিউজের টিভি ইউনিট সভাপতি তৌহিদুল আলম ও দুদকের সাবেক আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপ পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এডিসি স্পীনা রাণী প্রামাণিক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন,আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সেক্রেটারি জাকির হোসেন,শিল্পপতি মোহাম্মদ ঈসা, বনফুল গ্রুপের ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহেদ, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,পার্কভিউ হসপিটালের মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাম্মদ সবুর, ডেল্টা হসপিটালের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ অহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সুবল বড়ুয়া,বার্তা ২৪ ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি তাসনিম হাসান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ,ভোরের দর্পণের ব্যুরো চীপ মোহাম্মদ তাহের,ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান শিপন, পূর্বদেশের স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম মুন্না, বাংলা নিউজের স্টাফ রিপোর্টার মিনহাজুল ইসলাম,বিএনএ’র স্টাফ রিপোর্টার মনির ফয়সাল,আমাদের সময়ের এম আর আমিন,বার্তা ২৪ ডটকমের সিরাত মঞ্জুর উপস্থিত ছিলেন।