চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত পাহাড় আর সমুদ্র বেষ্টিত ঝর্ণার শহর হিসেবে পরিচিত মিরসরাইবাসী এখন তুমুল ভোটের লড়াইয়ের অপেক্ষায় দিন কাটছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সাবেক মন্ত্রী,প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এর পুত্র আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল।
অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
‘স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হবে মিরসরাই’ শিরোনামে ২২ দফা ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন নৌকার প্রার্থী। এছাড়া সবুজ পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব মিরসরাই গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সারাদিন মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গণসংযোগে চষে বেড়াচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, উনার সহধর্মিণী, বড় ছেলে সাবেদুর রহমান সুমু সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামা গিয়াস উদ্দিন স্মার্ট, সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির মিরসরাই গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ২৭ দফা প্রতিশ্রুতি নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের মিরসরাই পৌরসদরের লতিফিয়া সড়কের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন। তবে গিয়াস উদ্দিন পক্ষে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়ক এর দায়িত্ব নেয়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানা যায়। এছাড়া গিয়াস পত্নী তাহমিনা গিয়াস ও গণসংযোগ করছেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আসনে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের মাহবুব উর রহমান (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আবদুল মন্নান (চেয়ার), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাত পাঞ্জা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মো. ইউসুফ (টেলিভিশন), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (ঈগল) ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন চৌধুরী (লাঙ্গল)।
নৌকা এবং ঈগলের প্রচার প্রচারণা চোখে পড়ার মতো কিন্তু বাকি পাঁচ প্রার্থীর এরকম কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে না। অনেক প্রার্থীকে চিনেন ও না বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং এটা পজেটিভ বলে জানান ভোটাররা।
সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহলের ভাবনায় একটাই রসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ৫৪ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে তাঁর ছেলে রুহেল নাকি মোশাররফ পরিবারের হাত ছাড়া হবে। সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই অপেক্ষা করতে হবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।