চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া ‘শাহ আমানত’ বাসের ফিটনেস ছিল না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চুয়েট শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সহপাঠিদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে অবরোধে অংশ নিয়েছেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবী উপস্থাপন করে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। এসময় নিহত চুয়েট শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেনের গায়ভী জানাজা সড়কের উপর আদায় করেন তারা এবং সন্ধ্যায় শান্ত সাহার জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস ভাঙ্গচুর করে এবং শেষে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
উল্লেখ্য সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কাপ্তাই সড়কের সৈয়দ সেলিনা কাদের ডিগ্রি কলেজের সামনে শাহ আমানত নামে একটি বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলে থাকা চুয়েটের এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।