নবান্নের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এ বছর আমনের শুরুতে অনাবৃষ্টি, এরপর ভারী বৃষ্টিতে টানা ১২ থেকে ১৩ দিনের বন্যা। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হতে আবার পোকার আক্রমণ, সব মিলিয়ে দিশেহারা অবস্থা ছিল কৃষক সিরাজুল হক ও তার ছোট ভাই নুরুল হকের। কিন্তু সব শঙ্কা কাটিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঘরে তুলার অপেক্ষায় ১০ খানি জমির সোনালী ফসল। কিন্তু এক মুহুর্তেই তার স্বপ্ন পুড়ে হলো কয়েলের আগুন। দৃর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে তাদের স্বপ্ন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আনুমানিক রাত ২ টায় দিকে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ডালাইকুল খাল সংলগ্ন দাশ পাড়ায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দুই কৃষক বন্দারাজপাড়া ইউনুচ চেয়ারম্যান বাড়ীর মৃত শফিউল কদরের পুত্র। একইদিন দুপুরে তিনজনকে আসামী করে সিরাজুল হকের পুত্র মো. সাইফুল হক রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মৃত আবুল হাশেমের পুত্র মো. আজগর(৪০), আমির হামজার পুত্র ওবায়দুল ইসলাম (২০) ও মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র আবুল হাশেম (৬৫)।
কৃষক সিরাজুল হকের পুত্র সাইফুল হক জানান, সোম ও মঙ্গলবার দুইদিন ব্যাপী ১০ কানি জমির প্রায় ৯০০ আড়ি ধান কেটে ডালাইকুল সংলগ্ন জমির পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার এসব ধান মাড়াইয়ের কথা ছিল, কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জেরে বিবাদীরা এসব ধান পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেওয়ার পর পুলিশ এসে তদন্ত করে যায়। এ ঘটনায় তাদের আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গুনিয়া থানার এস আই মো. শাহজাহান জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে ছবিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।