চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পানি নিস্কাশনের জায়গা দখলে নিয়ে অবৈধভাবে দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ধামাইরহাট বাজার ও আশপাশের জনবসতির পানি নিস্কাশনের একমাত্র ছড়াটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত হলেও দীর্ঘদিন যাবত এটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছড়ায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে গত ১৬ বছর ধরে নোটিশ দিয়েই দায় সারছে প্রশাসন। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির ফলে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এই এলাকায় প্রায় ১০ টি পরিবার। যেকোনো মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে মাটির তৈরি তিন চারটি বসতঘর। অসহায় এসব পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি নিস্কাশনের জায়গা দখল করে প্রায় ১০ টি দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ছড়াটি অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পরিবার। পাশে থাকা পুকুরটি বসতঘরসহ পানিতে একাকার হয়ে আছে। কবরস্থানে পানি জমে আছে। অনেকের বসতঘরের ভিতরে প্রায় এক হাঁটু পরিমান পানি জমে গেছে। বেশ কিছু কাঁচা মাটির ঘর খসে পড়তে শুরু করেছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে দূর্বিষহ জীবন পার করছেন পরিবারগুলো।
স্থায়ীয় বাসিন্দ মো. ইসহাক জানান, ধামাইরহাট বাজার ও আশপাশের গ্রামের বসতভিটার পানি নিস্কাশনের জন্য রয়েছে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত একটি ছড়া। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ৮নং ওয়ার্ড পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর মৌজায় ৩০ শতক খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে করে দুই প্রভাবশালী গড়ে তুলেছে দোকান ও স্থাপনা। এতে পানি চলাচল প্রতিবন্ধকতার কারণে বসতভিটা ও কবরস্থানে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা। বর্তমানে আমাদের পুরো বাড়িটি এক হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। বারংবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও আমরা আদৌও কোন সমাধান পায়নি।
আরেক বাসিন্দা মুবিনুল আলম বলেন, পাশ্ববর্তী দুই প্রভাবশালীর এসব অবৈধ দোকান ও স্থাপনার জন্য আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমরা গরীব মানুষ দিন এনে দিনে খায়। আমাদের থাকার ঘরটুকু ভেঙে গেলে আমরা কোথায় যাব? কে আমাদের দেখবে?
সূত্রে জানা যায়, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাঙ্গুনিয়া সরকারী কমিশনার (ভূমি) সাক্ষরিত নোটিশ থাকলেও তোয়াক্কা করছেনা প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারেরা। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থাপনা সরিয়ে নেনয়ি কেউ। প্রশাসনও উচ্ছেদ কার্যকরে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
অভিযুক্ত এক দখলদার জানান, আর্বজনার কারণে পানি আটকে ছিল। আবর্জনা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। পানি নিস্কাশন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।