চট্টগ্রাম 2:03 am, Monday, 9 September 2024

ছেলের চারদিন পর বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরায় নিউ রাজাপুরে গ্রামের কুতুব উদ্দিনের একমাত্র পুত্র স্বাধীনকে হারিয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে কুতুব উদ্দিন ভাসানী( ৬২)ও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

গত ১৩ মে,২০২৩,শনিবার রাত বারোটায় একমাত্র পুত্র ফারদিন আরাফাত স্বাধীন( ২০)কে সমাহিত করা হয়। শেষ যাত্রায় বাবা কুতুবউদ্দিন ছেলেকে দেখতে পারেনি। তখন বাবা ছিলেন ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে। গত কাল মধ্যরাতে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবা-ছেলে কেউ কাউকে শেষ বিদায় দিতে পারলো না। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। নিহতের স্ত্রীর তিন কন্যাই বিবাহিত। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্ববল তিনি।

পুত্র স্বাধীন একটি জাহাজে চাকুরী ঠিক হয়েছিল,তাই বরিশালে ক্যাপ্টেন বাবা কুতিবিদ্দিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল,তার বাবা তখন কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজে কর্মরত, ১১ মে বৃহশপতিবার বিকালে জাহাজে বাবার সাথে সময় দিচ্ছিল,হঠাৎ তাদের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজটির ট্যাংকারে অগ্নিসংযোগে দুর্ঘটনায় কবলিত হলে ছেলে স্বাধীন ও তার বাবা কুতুবউদ্দিন গুরুতর আহত হয়,আহত অবস্হায় তাদের কে বরিশাল পরে ঢাকা বার্ণ হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে স্বাধীনের মৃর্ত্যু ঘটে,তার বাবা কুতুবউদ্দিন কে আইসিও তে ভর্তি করে।চারদিন আইসিও তে থাকার পর গতকাল মধ্যরাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষনা করে।

পিতা-পুত্রের হাস্যোজ্জ্বল এই ছবিটি এখন কেবলই স্মৃতি!
কুতুবউদ্দিনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর আজ সোমবার রাতে সীতাকুণ্ডের বাড়ীতে এসে পৌঁছতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছেলের চারদিন পর বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে

Update Time : 11:33:56 pm, Monday, 15 May 2023

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরায় নিউ রাজাপুরে গ্রামের কুতুব উদ্দিনের একমাত্র পুত্র স্বাধীনকে হারিয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে কুতুব উদ্দিন ভাসানী( ৬২)ও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

গত ১৩ মে,২০২৩,শনিবার রাত বারোটায় একমাত্র পুত্র ফারদিন আরাফাত স্বাধীন( ২০)কে সমাহিত করা হয়। শেষ যাত্রায় বাবা কুতুবউদ্দিন ছেলেকে দেখতে পারেনি। তখন বাবা ছিলেন ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে। গত কাল মধ্যরাতে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবা-ছেলে কেউ কাউকে শেষ বিদায় দিতে পারলো না। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। নিহতের স্ত্রীর তিন কন্যাই বিবাহিত। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্ববল তিনি।

পুত্র স্বাধীন একটি জাহাজে চাকুরী ঠিক হয়েছিল,তাই বরিশালে ক্যাপ্টেন বাবা কুতিবিদ্দিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল,তার বাবা তখন কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজে কর্মরত, ১১ মে বৃহশপতিবার বিকালে জাহাজে বাবার সাথে সময় দিচ্ছিল,হঠাৎ তাদের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজটির ট্যাংকারে অগ্নিসংযোগে দুর্ঘটনায় কবলিত হলে ছেলে স্বাধীন ও তার বাবা কুতুবউদ্দিন গুরুতর আহত হয়,আহত অবস্হায় তাদের কে বরিশাল পরে ঢাকা বার্ণ হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে স্বাধীনের মৃর্ত্যু ঘটে,তার বাবা কুতুবউদ্দিন কে আইসিও তে ভর্তি করে।চারদিন আইসিও তে থাকার পর গতকাল মধ্যরাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষনা করে।

পিতা-পুত্রের হাস্যোজ্জ্বল এই ছবিটি এখন কেবলই স্মৃতি!
কুতুবউদ্দিনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর আজ সোমবার রাতে সীতাকুণ্ডের বাড়ীতে এসে পৌঁছতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।