হাটহাজারীতে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধে করা হত্যা মামলার পাঁচদিনের মাথায় প্রধান আসামী শফিউল বশর (৩০) কে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। আটক শফিউল বশর উপজেলার ১ নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নস্থ ১ নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর মাহমুদাবাদ আনচুর আলী মিস্ত্রী বাড়ীর নুর হোসেনের পুত্র।
শুক্রবার (০৯ জুন) হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী শফিউল বশর কে গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধলই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম ধলই এলাকা থেকে তাকে প্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, হাটহাজারী মডের থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.রুহুল আমিন সবুজের দিক নির্দেশনায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হাটহাজারী থানাধীন ধলই ইউপিস্থ ৭নং ওয়ার্ড পশ্চিম ধলই এলাকা থেকে মামলার প্রধান ও ১ নাম্বার আসামী এই শফিউল বশরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি (বড় কোদাল) ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে মামলা দায়েরের ৬ ঘন্টার মাথায় এ মামলার ২ নং আসামী ওই এলাকার আরজেনা বাপের বাড়ীর মরহুম গোলাম হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলামকে আটক করেছিলো পুলিশ। এ মামলার অপর আসামীরা হলো ওই এলাকার ৩.আব্দুল গনির পুত্র মোঃ ইরফান প্রকাশ শুভ(২২), ৪.মরহুম জামাল উদ্দিনের পুত্র মো.হামিম (২০), ৫.আবদুল গনির স্ত্রী মমতাজ বেগম(৩৫) , ৬ নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা আক্তার (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.রুহুল আমিন সবুজ গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী শফিউল বশরকে শুক্রবার বিকালের দিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে বুধবার উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ আমির হোসেন প্রকাশ মুন্সি মিয়ার পুত্র ইউনুস কে তার নিজ বসতঘরের পাশে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরুধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে গুরুতর আহত করে শফিউল বশর। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষঅবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ০৪ জুন সন্ধ্যার দিকে ঘটনার ৫ দিন পর এক সন্তানের পিতা ইউনুস মারা যায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই মাহাবুল আলম বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ০৮।