একের পর এক অভিযানের পরও হাটহাজারীতে অবৈধভাবে কৃষি জমির টপসয়েল কাটা কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। এবার গভীর রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মহিনউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালের দিকে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ অবিযান চালানো হয়।
টপসয়েল কাটার অপরাধে অর্থদন্ডে দন্ডিত মহিউদ্দিন গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়নের হাজী আব্বাসের পুত্র।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিক্তিতে ওইদিন রাতে উল্লেখিত এলাকায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে স্কেবেটরের সাহায্যে কৃষি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) কাটা হচ্ছে জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যের সত্যতা পান। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে টপসয়েল কাটার কাজে জড়িত ব্যক্তি মহিউদ্দিন কে অপরাধ স্বীকার করায় তাকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা ডিসিআর মূলে আদায় করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সাথে থেকে সহযোগিতা করেন।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, এতোবড় অপরাধের সাজা সামান্য টাকা হলে অপরাধ কখনই রোধ করা যাবে না। এবং অবৈধকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, স্কেবেটর, পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ড্রাম ট্রাক ইত্যাদি জব্দ করতে হবে। পাশাপাশি জরিমানার সংখ্যাও সর্বোচ্চ করতে হবে। এবং নাম পরিচয় নিয়ে যাতে প্রতারনা করতে না পারে বা মিথ্যা পরিচয় দিতে না পারে সেজন্য অপরাধীর এনআইডি কার্ড অনুযায়ী নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে হবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে রবিবার সকালে বলেন, “টপসয়েল কর্তন রোধে সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ধলই ইউপির কাটিরহাট এলাকায় অবিযান চালিয়ে আবু সাইদ পিতা তহিদুল আলম নামের এক ব্যক্তিকে অর্ধলক্ষ টাকা এবং ০৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার আবু সাইদ পিতা আবদুস সাত্তার নামের আরেক ব্যক্তিকে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া শিকদার পাড়ায় টপসয়েল কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযনে চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো।