হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকায় বাস হেলপার মো.নেজাম উদ্দিন মানিক (৪৫) ও ট্রাক চালক ভুলু বড়ুয়া (৫০) নামের দুই পরিবহন শ্রমিককের হত্যাকারী অটোরিকশা চালক মো.আরিফ (২২) কে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের সাহসীকতায় আটক করা হয়। হত্যাকারী আরিফ মূলত একজন ছিনতাইকারী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই,) সকাল সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে অটোরিকশা চালক পরিচয় দিলেও আমরা তাকে ছিনতাই করার সময় গ্রেফতার করি।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, ১৬ জুলাই রাতে হাটহাজারী থানা এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসার পথে হাটহাজারী থানাধীন আমান বাজার এলাকায় পৌঁছলে জ্যামে থাকা অবস্থায় ডিবির গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভারকে ছুরির ভয় দেখিয়ে একজন ছিনতাইকারী টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।
বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ কৌশলে পিকআপ চালকের বুকে ছুরি ঠেকানো অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ছুরিসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার নাম মো. আরিফ (২২) বলে জানায়।
পরে জানা যায়, আটককৃত ছিনতাইকারী আরিফ জ্যামে থাকা পিছনে আরও দুইজন ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে।
পরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় গুরুতর জখম হওয়া দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ট্রাক চালক ভুলু বড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত বাস হেলপার মো. মানিকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মৃত্যু হয়। এবং গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী মো. আরিফকে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
হাটহাজারী মডের থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম বলেন, উক্ত ঘটনায় নিহত বাস হেলপার মানিকের স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকারী মো.আরিফ কে বিবাদী করে থানায় মামলা দায়ের করলে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেখানে স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে বলেও জানান তিনি।