হাটহাজারীতে মৃত্যুর পর দাফন করার ১৩২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মেহেরুন্নেছা (২১) নামের এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিকাল আড়াইটার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাজ সারবীন এর উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুর একটার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার ৪নং ওয়াডস্থ আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদ বাড়ীর ভিকটিমের বসতঘর থেকে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় একই বাড়ির বশিরের প্রবাসী পুত্র ওয়াহিদুল আলম মনজুর স্ত্রী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ীর আবদুল কাদেরের কন্যা মেহেরুন্নেছার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবার দাবী করেন যৌতুকের জন্য দেবর, ননদ ও শাশুড়ী মিলে গৃহবধূ মেরুন্নেচ্ছাকে স্বামী বিদেশ যাবার পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে।তখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবরকে আটক করেছিল মডেল থানা পুলিশ। পরে নিহতের ভাই নাইম বাদী হয়ে নিহতের দেবর, ননদ ও শাশুড়ীসহ মোট চারজনকে বিবাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। তবে বর্তমানে বিবাদীরা সবাই ওই মামলায় জামিনে আছেন বলেও সূত্রে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলি আকবর মঙ্গলবার বিকালের দিকে জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নিহতের বাবার বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলনের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান লাশ উত্তোলনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।