সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ থানা পুলিশ ও গুরুত্বপূর্ণ অফিসে যাতায়াত করেন মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এই স্থানটি পড়ে আছে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে। অল্প বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি।
বলছি, ঢাকার নবাবগঞ্জের স্বাধীনতা ভাস্কর্য এলাকা থেকে নবাবগঞ্জ থানা ও সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সড়কের কথা। নবাবগঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। থানা গেইটের পর থেকে আরসিসি ঢালাই হয় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত। কিন্তু এরপর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় দুইশ’ মিটার সড়ক আর সংস্কার করা হয়নি, ফলে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এখানে। এমনকি বৃষ্টি ছাড়াও মার্কেটের ময়লা পানি এসে সড়কে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটু বৃষ্টি হলে ইসলামি ব্যাংকের সামনে গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিতে পানি জমে থাকে। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও অনান্য গাড়ি চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল জ্যামে পড়ে পানির কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ ও শিবলু বলেন, আমরা নিয়মিত কলেজে আসি। পুরো রাস্তা ভালো হলেও ইসলামি ব্যাংকের সামনে বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। মাঝে মাঝে পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও অনেক কষ্ট হয়।
তারা আরও বলেন, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সড়কটির এই অবস্থা দেখছি। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী মুক্তখবর প্রতিনিধি কে বলেন, এই সড়কটি টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু প্রতিনিধি কে বলেন, নবাবগঞ্জের মধ্যে এই সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও পানি জমে জলাবদ্ধতা হওয়ায় স্থানীয় প্রকৌশলীসহ ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং দ্রুত কাজের জন্য এলজিইডিকে বলা হয়েছে।