আজ ১৯/০৫/২৩ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বারুয়াখালী ইউনিয়নস্থ বারুয়াখালী বাজারে বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মোঃ সোহেল রানা (৩৭), পিতা- মোহাম্মদ আলী নামক একজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত মূলত এমবিবিএস ডাক্তারের সহযোগী। এমবিবিএস ডাক্তার এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মোঃ আনোয়ার হোসেন বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতি শুক্রবার চেম্বারে রোগী দেখেন। কিন্তু তার সহকারী মোঃ সোহেল রানা সপ্তাহের অবশিষ্ট দিনগুলোতে নিজেই রোগী দেখেন, প্রেস্ক্রিপশনে বিভিন্ন রোগের জন্য টেস্টের নাম লিখে দেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট নিজেই করেন এবং নিজ স্বাক্ষরে সেগুলো রোগীদের সরবরাহ করেন। তিনি অনেক দিন ধরেই সাধারণ মানুষের সাথে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল এর নিবন্ধন ব্যতীত, এমবিবিএস ডিগ্রী না থাকা স্বত্তেও ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার অপরাধে এই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ০৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মোঃ আঃ হালিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নবাবগঞ্জ, ঢাকা।
অপরদিকে, বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন নিবন্ধন না থাকার কারণে ক্লিনিকের মালিককে ৪,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ক্লিনিকের নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক না চালানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ডাঃ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নবাবগঞ্জ, ঢাকা এই ভুয়া ডাক্তারকে চিহ্নিত করে দিয়েছেন এবং ক্লিনিকের কাগজপত্র যাচাই করে দিয়েছেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ।
নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া, প্রতারক ডাক্তারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।