ঢাকার নবাবগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো.শাহীনুজ্জামান শাহিন বিবিএস এলএলবি এক সাংবাদিক। আজ সকালে আগলা তার নিজ কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদকর্মী শাহীনুজ্জামান শাহিন তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন,নাজমুল হোসেন অন্তর নামে এক কথিত সাংবাদিক তার ফেসবুক আইডিতে, নববাংলা নামে একটি অনলাইন নিউজে আমি সহ আমাদের তিন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন। জাতীয় দৈনিক আগামীর সময় এর আলমগীর হোসেন,এনপিএস নিউজ ও এক সময় তালাশ টিমের প্রতিবেদক আহমেদ লিটন শেখ রানাসহ আমাদের তিনজনকে ভূয়া সাংবাদিক আক্ষায়িত করে আমাদের চরম মানহানি করেছেন ঐ নাজমুল হোসেন অন্তর। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমার মানহানি করায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নবাবগঞ্জ আমলী) আদালতের মামলা নং-২১০ সহ আরো দুইটি মামলা করেছি। আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
লিখিত বক্তব্যেয় তিনি আরো বলেন, নাজমুল হোসেন অন্তর তিনি একজন সুবিধাবাদী লোক। রাজনৈতিক
ভাবে তিনি কখনো জাতীয় পার্টির নেতা,কখনো আওয়ামী লীগ নেতা আবার কখনো নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তিনি বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। তার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় ও নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছিল স্থানীয় ভুক্তাভোগীরা।
এছাড়া এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজি করায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছিল ভুক্তাভোগীরা। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। তিনি বলেন,নাজমুল হোসেন ছাত্র জীবনে দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক,নয়নশ্রী ইউনিয়ন ছাত্র সমাজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্ত সালমান এফ রহমান দোহার-নবাবগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নাজমুল নিজেকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে থাকেন ও বিভিন্ন অপকর্ম করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হয়রানি করেন। আমি আপনাদের সামনে কিছু প্রমাণ দিতে চাই। দোহার জয়পাড়ার কাচ্চি বিরানীর দোকানে গিয়ে কাচ্চির মালিকের কাছে ১০ হাজার টাকা চাদা দাবি করেন। নয়নশ্রীর ইউসুফ এর কাছে পুকুর (পুনঃ) খনন কাজের মাটি কাটায় ১ লাখ টাকা চান্দা চেয়ে ঐ মৎস্য চাষীকে হয়রানি করেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ হয়েছে। তার নিত্যকার কাজকর্মের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে
সংবাদ সম্মেলনের শেষে শাহীনুজ্জামান শাহিন নাজমুলের ফেইজবুকে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ভূয়া সংবাদ প্রকাশে মানহানি করায় নাজমুল হোসেন অন্তুর কে আইনের আওতায় এনে তার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন
তিনি।