তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন। তখন অনেকে গায়ে পারফিউম লাগিয়ে নামবে ৷ নানা কথা বলে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করবে। নির্বাচন এলে যারা বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন, করোনা কিংবা নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সময় তাঁরা কোথায় ছিল। তাঁদের মিথ্যা আশ্বাস থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।” আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার নানা ধরণের ভাতা দিচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই ভাতার প্রচলণ করেছিলেন। যা অতীতের কোনো সরকার করতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে একজন ভাতাভোগীও বাড়ায়নি৷ বরং তারা ভাতা প্রদানে স্বজনপ্রীতিসহ অনিয়ম করেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রতি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছে। আগেকার রাজা-বাদশা’র কিসসা-কাহিনির মতো মানুষের মোবাইলে এখন অটোমেটিক টাকা চলে আসছে। মানুষ ফ্রিতে চাল-ডাল-তেল পাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচনে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলে তা বন্ধ করে দিবে। আমাদের সরকার যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তাহলে আরো বেশি মানুষকে উপকারভোগীর তালিকায় নিয়ে আসবে।”
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “আমি মানুষ, মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেজন্য আমি ক্ষমা চাই। গত ১৪ বছরে আমার জন্য সকলের দরজা খোলা রেখেছি। আগামীতে আমি যখন আপনাদের দরজায় আসবো, তখন আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখেন, এই প্রত্যাশা করি।”
পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একতেহার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, সহসভাপতি লোকমান হোসেন তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন বাদশা, আবদুল খালেক, জহুরুল ইসলাম, ইলিয়াছ তালুকদার, বিজয় কুমার সেন, আবুল হাশেম, মো. আবদুল্লাহ প্রমুখ।