চট্টগ্রাম 9:10 am, Tuesday, 3 December 2024

নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল!

দেশীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বিতর্কিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। দীর্ঘদিন ধরেই তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে ঝামেলা চলছে। অবশেষে তাকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী সালসাবিল।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের বিষয়টি জানিয়েছেন সালসাবিল। মূলত নোবেল মাদকাসক্ত হওয়ায় ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সালসাবিল বলেন, আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না। সে বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে, নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী (দরকার হলে নাম বলব); যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি। কিন্তু নোবেলের আশেপাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও)।

সালসাবিল যোগ করেন, বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে। যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই। আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে, এখন জড়িত। মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সীতাকুণ্ডে ইউসুফ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল!

Update Time : 04:54:20 pm, Thursday, 4 May 2023

দেশীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বিতর্কিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। দীর্ঘদিন ধরেই তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে ঝামেলা চলছে। অবশেষে তাকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী সালসাবিল।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের বিষয়টি জানিয়েছেন সালসাবিল। মূলত নোবেল মাদকাসক্ত হওয়ায় ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সালসাবিল বলেন, আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না। সে বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে, নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী (দরকার হলে নাম বলব); যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি। কিন্তু নোবেলের আশেপাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও)।

সালসাবিল যোগ করেন, বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে। যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই। আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে, এখন জড়িত। মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।