সন্দ্বীপের ভাঙ্গন কবলিত রহমতপুর ইউনিয়ন পশ্চিম নদীর পাশে ২ বছর আগে গড়ে উঠছিল স্বাধীন ফুড এগ্রো,গত ডিসেম্বর মাসে গড়ে উঠছে আরেকটি সৌন্দর্য ভরপুর বেলা শেষে আড্ডা । বাঙালির ঐতিহ্য ছোট ছোট ছনের ঘর গোল করে বসানো হয়েছে। এক ঘরে দশজন করে বসে নাস্তা করার ব্যবস্হা রয়েছে। বেলা শেষ করে আপনি নদীর পাড় পর্যন্ত হাটা বা মোটরসাইকেল থাকলে কুল পর্যন্ত যেতে পারবেন, নদীর কুলে নামলে রয়েছে ছোট ছোট ডিঙি নৌকা, বিশ টাকা দিলে নদীতে ও ঘুরতে পারবেন। বেলা শেষে আড্ডায় রয়েছে শিশুদের নানান ধরনের খেলার ব্যবস্হা, দশ হাত দুরে দুরে রয়েছে গোল টুল গোল ছাতা মাথার ওপর দিয়ে বসার ব্যবস্হা, রয়েছে রোমান্টিক ছবি তোলার চকি মাথার উপর গোল ছাতা রয়েছে। আলদা চেয়ারের ব্যবস্হা। মনোরম এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনি চাইলে স্বাধীন ফুড বা আড্ডা বেলা শেষে চলে আসুন। ছুটির দিন সহ সপ্তাহের যে কোন দিন বিকেলে বা সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দিন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসতে দেখা যায়। সন্ধ্যায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে দ্বীপের চারপাশ থেকে অনেকে আসছেন তাদের স্বামী স্ত্রী ছেলে মেয়ে, ভাই বোন সহ পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তি নিয়ে তার বাহিরে অনেকে সন্দ্বীপের বাহির থেকে ও আসছেন। তবে বেশ কিছু পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা গেছে মনোরম পরিবেশ ও ঠিক, সৌন্দর্য উপভোগ ও ঠিক কিন্তু খাবারের দাম বেশি, তারা খাবারের দামটি নাগালের মধ্যে আসার জন্য কতৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান। গত এক দশক আগে সন্দ্বীপের ভাঙ্গন বন্দ হয়ে গেলে পশ্চিম সাগর পাড় একটি পর্যটন নির্বর এলাকায় পরিণত হয়েছে। এগুলিকে কাজে লাগাতে পারলে একদিকে সন্দ্বীপ একটি দর্শনীয় স্হান অন্য দিকে অর্থনীতিক ভাবে অনেক পরিবার স্বাবলম্বী হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা, কথা হয় স্বাধীন ফুড এগ্রোর মালিক শাহাদাত হোসেনের সাথে তিনি বলেন গত এক সপ্তাহে তীব্র শত্যপ্রবাহের কারণে একটু পর্যটক কম ছিল, আজ শীত কম থাকায় সকাল থেকে সারি সারি ভাবে পর্যটক আসছে, আমাদের রয়েছে গাড়ি রাখার পার্কিং রযেছে পুরুষ মহিলা আলাদভাবে খাওয়ার ব্যবস্হা, এবং একই সাথে আমরা শিশুদের দোল খেলনা সহ নানান জাতের খেলার ব্যবস্হা আমরা করছি।