চট্টগ্রাম 3:43 am, Thursday, 5 December 2024

পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা থাকায় রাঙ্গুনিয়ায় বেড়েছে বোরোর আবাদ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দিগন্তজোড়া বিস্তৃত মাঠ এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকেই তাকাই সবুজ আর সবুজ। প্রতিবছরের ন্যায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের আশায় উৎসাহ উদ্দীপনায় ফের বোরো আবাদ করেছে কৃষয়েরা। পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা থাকায় গতবছরের তুলনায় এবার আবাদ বেড়েছে প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৮ হাজার ৩১৫ হেক্টর। তবে সেচ সুবিধার কারণে আবাদ বেড়ে চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি একরে প্রায় ৭০-৮০মণ ধান পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে। এবার বোরোতে হেক্টর প্রতি ফলন সাড়ে ৬-৮ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান।

চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় শস্য ক্ষেত উপজেলার গুমাই বিল ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে ধান গাছের সবুজ পাতায় বইছে ঢেউয়ের খেলা। অনেকেই চোখ জুড়ানো এই দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করছেন। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, সব জমিতে চারাগাছ লাগানো হয়ে গেছে। জমিতে সেচ, সার প্রয়োগ এবং লাগানো চারাগাছ পরিচর্যায় মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এবার তাদের আবাদকৃত চাষের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৮৮, ৮৯, ৯২, ১০০(বঙ্গবন্ধু), ব্রিধান ৭৪, হাইব্রিড ধান। এছাড়া স্থানীয় উন্নত জাতের মধ্যে কাটারীও চাষাবাদ হয়েছে।

গুমাইবিলের কৃষক মো. শাহ আলম জানান, বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। গতবার ৩০ কানি জমিতে চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এবার তাই ৪৫ কানি জমিতে বোরো চাষ করেছি।

জমির উদ্দিন নামে আরেক কৃষক চাষ করেছেন ৬০ কানি জমি। তিনি জানান, বোরো ধান এখন কুশি অবস্থায় রয়েছে। ধানের বয়স প্রায় ২মাস হয়েছে। নিয়মিত সেচ দিচ্ছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ফলন আসবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, বোরো ধান চাষে উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারিভাবে প্রণোদনা, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পানি সুবিধাও রয়েছে। এছাড়া ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকদের সব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা থাকায় রাঙ্গুনিয়ায় বেড়েছে বোরোর আবাদ

Update Time : 11:38:03 am, Thursday, 21 March 2024

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দিগন্তজোড়া বিস্তৃত মাঠ এখন সবুজের সমারোহ। যেদিকেই তাকাই সবুজ আর সবুজ। প্রতিবছরের ন্যায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের আশায় উৎসাহ উদ্দীপনায় ফের বোরো আবাদ করেছে কৃষয়েরা। পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা থাকায় গতবছরের তুলনায় এবার আবাদ বেড়েছে প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৮ হাজার ৩১৫ হেক্টর। তবে সেচ সুবিধার কারণে আবাদ বেড়ে চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি একরে প্রায় ৭০-৮০মণ ধান পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে। এবার বোরোতে হেক্টর প্রতি ফলন সাড়ে ৬-৮ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান।

চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় শস্য ক্ষেত উপজেলার গুমাই বিল ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে ধান গাছের সবুজ পাতায় বইছে ঢেউয়ের খেলা। অনেকেই চোখ জুড়ানো এই দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করছেন। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, সব জমিতে চারাগাছ লাগানো হয়ে গেছে। জমিতে সেচ, সার প্রয়োগ এবং লাগানো চারাগাছ পরিচর্যায় মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এবার তাদের আবাদকৃত চাষের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৮৮, ৮৯, ৯২, ১০০(বঙ্গবন্ধু), ব্রিধান ৭৪, হাইব্রিড ধান। এছাড়া স্থানীয় উন্নত জাতের মধ্যে কাটারীও চাষাবাদ হয়েছে।

গুমাইবিলের কৃষক মো. শাহ আলম জানান, বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। গতবার ৩০ কানি জমিতে চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এবার তাই ৪৫ কানি জমিতে বোরো চাষ করেছি।

জমির উদ্দিন নামে আরেক কৃষক চাষ করেছেন ৬০ কানি জমি। তিনি জানান, বোরো ধান এখন কুশি অবস্থায় রয়েছে। ধানের বয়স প্রায় ২মাস হয়েছে। নিয়মিত সেচ দিচ্ছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ফলন আসবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, বোরো ধান চাষে উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারিভাবে প্রণোদনা, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পানি সুবিধাও রয়েছে। এছাড়া ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকদের সব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।