কেউ সেজেছে রাখাল, কেউ সেজেছে গ্রাম্যবধূ, কেউ মুক্তিযোদ্ধা। একে একে সবাই গ্রাম বাংলার চিরাচরিত রুপে ফিরে এসেছে। পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গন সাজানো হয়েছে। ৪টি স্টলে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি নিয়ে। ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পহেলা ফাল্গুনে এমন উৎসবের আয়োজন করেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া শাহাব্দিনগর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৩০ মিনিটের ভিন্নধর্মী এমন পরিবেশন মুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত স্কুল প্রাঙ্গণ। শুরুতেই জাতীয় ও রণ সংগীত, শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতর উড়ানো, শপথ বাক্য পাঠ এবং মশাল জ্বালিয়ে মাঠ প্রদর্শনের মাধ্যমে ডিসপ্লে প্রদর্শনী শুরু করা হয়। প্রদর্শনীতে ছিল মুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপট, ৭ই মার্চের ভাষণ, মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তী দেশ গঠনে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণ, ঋতু বরণ নৃত্য, লোকজ বিয়ে, দেশাত্মবোধক গানের নৃত্য, জাগরনি গান। শিক্ষক নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৫ টি পিঠাপুলির স্টল উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্যে ছিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজা হাউস, নবম শ্রেণির সোনার তরী হাউস, অষ্টম শ্রেণির তামিম ইকবাল হাউস, সপ্তম শ্রেণির শেখ রাসেল হাউস ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিউলিপ হাউস।
এসবের পাশাপাশি ছিল বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখতেহার হোসেন। শিক্ষক নিজাম উদ্দীন’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ তালুকদার, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইছমাঈল হোসেন, মো. শামসুল আলম, মহিলা অভিভাবক সদস্য নূর বানু, রেজাউল করিম মাস্টার, পারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাশেম, শিক্ষানুরাগী মো. সোলাইমান প্রমুখ৷