চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিশ্বকাপ খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জাহেদ ইকবাল জনি ও তার ছোট ভাই ফয়সালকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল কিশোর গ্যাং৷, আহত দুই ভাই উপজেলার ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিম সলিমপুর গ্রামের ইকবাল মিস্ত্রী বাড়ির আনোয়ারুল আলমের পুত্র৷ এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ । এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০ নভেম্বর (রবিবার) রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আনোয়ারুল আলম (৬০) ফুটবল খেলা দেখার জন্য বাড়ীর সামনে মুক্তার সওদাগরের গ্যারেজে যায়। বর্ণিত স্থানে ইকবাল মিস্তী বাড়ীর মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুনায়েদ (১৮), ও খেলা দেখতে যায়। সেখানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে উভয়ে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে জুনায়েদ ফোন করে আরও সাঙ্গপাঙ্গ ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়া যায় এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আনোয়ারুল আলম৷ (৬০) কে এলোপাতাড়িভাবে পিঠাইতে থাকে। এ অবস্থায় পিতাকে বাঁচাতে জাহিদ ইকবাল জনি ও তার ছোট ভাই ফয়সাল এগিয়ে এলে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে জুনায়েদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গ৷
এ ব্যপারে আহত জাহিদ ইকবাল জনি বলেন, আমি ও আমার ছোট ভাই ফয়সাল আমার পিতার শোর-চিৎকার শুনে রক্ষার জন্য গেলে মোঃ জুনায়েদ (১৮), পিতা-মৃত জামাল উদ্দিন, সাং–দক্ষিণ সলিমপুর (ইকবাল মিস্ত্রীর বাড়ী), ৭নং ওয়ার্ড, ১০নং সলিমপুর৷ নয়ন (১৮), পিতা-মৃত জাফর আহমদ৷ মোঃ ফারুক (৩১)৷ আলভী (১৯), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং- বাংলা বাজার, বাইপাসের পশ্চিম পাশে, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা- চট্টগ্রামসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন আমাদের এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আমাদের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে, এতে আমাদের দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনার বিষয়ে কোন মামলা মোকাদ্দমা করলে প্রাণ নাশ করবে বলে হুমকি দেয়৷ পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ ফোন দিলে সীতাকুন্ড থানাধীন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তৎক্ষণে বিবাদীরা পালাইয়া যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি, আমার ছোট ভাই ফয়সাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছি৷
এ ব্যপারে জানতে মামলার আইও এসআই পার্থ’র মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷