রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মো. ফারুক আহমেদ (৩২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অর্থ প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) লালানগর বন্দেরাজার পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মো. আবু বক্কর (৫২) বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ফারুক আহমেদ রাজানগর ইউনিয়নের কাউয়ালী রাস্তার মাথা এলাকার মো. আবদুল হাকীমের পুত্র। ফারুক আহমেদের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে খারাপ আচরণ সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী আবু বক্করের ছোট ভাই মো. আবুল কাশেমের সাথে বিবাদী ফারুক আহমেদের পরিচয় ছিল। সে সূত্রে দুই বছর আগে ফারুক আহমেদ আবুল কাশেমের কাছ থেকে ব্যবসায়ীক কাজে লাগবে বলে ১লাখ টাকা ধার নেন। দুই তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ দুই বছরে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে প্রায় ১ বছর আগে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেন। কিন্তু বাকী ৭০ হাজার টাকা চাইলে গেলে বিভিন্ন তাল বাহনা শুরু করেন এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
বাদী মো. আবু বক্কর জানান, সম্প্রতি প্রশাসন কতৃক সিলগালা হওয়া ফারুক আহমেদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান “যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ” চালু করার সময় আমার ছোট ভাই আবুল কাশেমের কাছ থেকে ১লাখ টাকা ধার নেন। এরমধ্যে প্রায় বছর খানেক আগে যখন আমার ভাই দেশে ছিলেন তখন সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকী ৭০ হাজার টাকা ফেরত দেন নি। এই সালিসি বৈঠকে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা না দিয়ে আবারো সেই আগের মতো পরে যোগাযোগ করবে বলে জানান। দীর্ঘ দুই বছরেও আমাদের পাওনা টাকা না পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি।
সালিশি বৈঠকে উপস্থিত থাকা ধামাইরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল ইসলাম সেলিম ও দক্ষিণ রাজানগর ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ উদ্দিন জানান, আনুমানিক এক বছর আগে বৈঠকের মাধ্যমে ফারুক কাশেমের পাওনা ১ লাখ টাকার মধ্যে ৩০হাজার টাকা দিয়েছিল। বাকী টাকা দিয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক আহমেদ টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল বলেও জানান।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহাবুব মিল্কি জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ই নভেম্বর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নাম ব্যবহার করে ভূয়া সরকারি সনদ দেওয়ার অভিযোগে ফারুক আহমেদের “যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নামে প্রতিষ্ঠানটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করে দেয়।