মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে মাতৃভূমি সামাজিক সংগঠন এর উদ্যোগে আয়োজিত কুইজ, চিত্রাঙ্কন এবং সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠক আলেয়া বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও রাজনীতিবিদ, গল্পকার সুরাইয়া বাকের, উদ্বোধক ছিলেন গবেষক ও উন্নয়ন সংগঠক ড. শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষিকা মঞ্জু আচার্যা, সীতাকুণ্ড মর্ডান হাসপাতালের চেয়ারম্যান, গাইনী স্পেশালিষ্ট ও সার্জন ডা. আফরোজা তালুকদার, সংগঠক শামীমা আক্তার লাভলী প্রমূখ।
প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে কন্যা, জায়া, জননীদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সকল অতিথি হিসেবে আসন অলঙ্কৃত নারীরাই।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিসেস সুরাইয়া বাকের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সহ বিভিন্ন সময়ে দেশের স্বাধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে, মননে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রগতিশীল অগ্রযাত্রায় প্রজন্মকে শামিল করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ দূর্বার এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানে নারীদের বিশেষ ভাবে সম্মানিত করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ড. শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা বলেন স্বাধীনতার অর্জনের গৌরবময় ইতিহাসকে অনুধাবন করতে হবে, স্বাধীনতা অর্জনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের ত্যাগের মহিমা উপলব্ধি করতে হবে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে এবং আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বাঙালি মুক্তির সংগ্রাম করেছিলো, সেই অর্থে স্বাধীনতার ৫১ বছর পর আমাদের অর্জন কতটুকু, আদৌ আমরা লক্ষ্য পৌঁছাতে পেরেছি কিনা সেটি উপলব্ধি করতে হবে। তিনি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের কে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।