চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ীর হারানো নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকাসহ লুট হওয়ার ঘটনায় মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় মিরসরাই থানা পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম ইয়াকুব আলী মাসুদ (৬৫)। সে নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার চরজব্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ মিয়ার বাড়ির মরহুম আবদুল হালিমের ছেলে।
এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা, স্বর্ণের তাবিজ ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
মিরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন ইয়াছিন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি গাড়িতে বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে ব্যবসায়ীক কাজে রওয়ানা হন মো: আবুল কালাম। পথিমধ্যে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে রমজানের ইফতার শেষে বাসে উঠে। পাশের সিটে বসা অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে কৌশলে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে অজ্ঞান করে তার সাথে ব্যাগে থাকা নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মিরসরাই থানায় মামলা করেন।
মামলাটি হাতে পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলামের নির্দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করেন মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায়। নোয়াখালী জেলার ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী মো: আবুল কামাল চট্টগ্রাম রাঙ্গুনীয় উপজেলার থান্ডাচড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ বাড়ির মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম শহরের টেরিবাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন।
আবুল কালাম বলেন, সেদিন আমি চট্টগ্রাম নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার বাসস্টপেজ থেকে সেন্ট মার্টিন এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি এসি বাসযোগে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। শহর থেকে আমার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিও বসেন। মিরসরাইয়ের মিঠাছড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে কিছু বুঝে উঠার আগে তিনি আমাকে একটি জুস পান করান। সেটা খেয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সাথে থাকা নগদ ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় আমি মিরসরাই থানায় মামলা করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরসরাই থানার ওসি তদন্ত দীপ্তেশ রায় জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা কাজ করতে থাকি। সনাক্তপূর্বক গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নোয়াখালীর চরজব্বর থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় আমরা ইয়াকুব আলী মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার নিজ বাড়িতে রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাই হওয়া নগদ ছয় লাখ ২৩ হাজার টাকা, একটি সুজুকি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি সোনার তাবিজ হারসহ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেছি। বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।