চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ২০ দিন ব্যাপী বিজয়মেলার শেষ দিনে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
রবিবার (১জানুয়ারি) রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজী ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টারের উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতিপত্রে বলা হয়, ‘রোববার ভোর ৪টায় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা ও পিস্তলের গুলি নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের আহত করে।
উক্ত ঘটনার মাধ্যমে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এবং বেআইনি কার্যকালাপের দ্বারা দলীয় সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের কারণে ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সকল ধরণের ও সকল স্তরের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।’
এর আগে রবিবার ভোররাতে বাড়ি ফেরার সময় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন সাহেদ কামাল(২৫), সেফাযেত(২৩) আবদুর রহমান(১৮), সাইফুদ্দিন রিফাত (১৭),আমজাদ হোসেন(২১), রাহুল বড়ুয়া(২৪), তারেক হোসেন (৩৬), মিরাজ আকবর (২০), মরো যার হোসেন (২২), কাওসার (৩২), যুবলীগ কঅমী (৩৭), তার সবাই ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ করা করেছে টিটোর বাহিনীর সদস্যরা।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান তিনি। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পরামর্শে তাকে তার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।
মিরসরাইয়ে বিজয়মেলা থেকে ফেরার পথে ‘ টিটু’র নেতৃত্বে হামলা— গুলিবিদ্ধ ৬, আহত ২০জন
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, ‘এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে; তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।’
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নেক্কার জনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উপজেলা অা.লীগ মভকপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌঃ বলেন, সন্ত্রাসীদের স্থান আ.লীগে নেই। টিটুকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য অব্যাহতি দেয়া হলো