চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নারী উদ্যোক্তা নাঈমার আচারের সত্বাধিকারী বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহিলা সম্পাদিকা ও মিরসরাই উপজেলার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা এবং মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে কর্মরত সি,এইচ,সি পি জান্নাতুল নাঈমা (৩৫) উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৫.৩০ টায় কাটাছড়া সারেং স্কুলের সামনে রিয়াদ হোসেন (৩০) নেতৃত্বে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী নারী উদ্যোক্তো, মানবাধিকার কর্মী জান্নাতুল নাঈমা ও তাঁর স্বামী বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের মিরসরাই উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও মিরসরাই উপজেলার গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ডাঃ মোঃ জাহেদুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । হামলার অভিযোগে রাতে নাঈমা জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ২ মাস যাবত রিয়াদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে আসছে। এব্যাপারে মিরসরাই থানায় জিডি করেছি। গত শনিবার ক্রেতা সেজে নাইমুল হাছান শুভ(২৮) মোবাইল থেকে আমের ও চালতার আচারের অডার দেয়। উক্ত অডার দেওয়ার জন্য ৭ নং কাটাছড়া সারেং স্কুল এলাকায় গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ও আমার স্বামীর উপর হামলা করে এলোপাতাড়ী কিল,ঘুষী, লাথি ও লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। আমার পরিধিয় কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে । চাঁদা ছাড়া ব্যবসা করলে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফুল হুদা বলেন, তাদের শরীরে আঘাতের চিহৃ ছিলো প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ডা: জাহেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, রিয়াদ হোসেন গত ৫ থেকে ৬ মাস যাবত জান্নাতুল নাঈম কে বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ইভটিজিং করতো প্রতিবাদ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মন্দ ভাষায় গাল মন্দ করতো এবং গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে রিয়াদ হোসেন একটা ফেক আইডি খুলে জান্নাতুল নাঈম কে সামাজিক ভাবে হ্যায় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন রকমের বাজে ছবি ফেইসবুকে দিতে থাকে।
এই বিষয়টি নিয়ে মিরসরাই থানায় একটি জিডি করেন জান্নাতুল নাঈম। গত শুক্রবার জান্নাতুল নাঈমকে মোবাইলে হুমকি সব ই- কর্মাস গ্রুপের এডমিন কে বলে জান্নাতুল নাঈমের অনলাইন বিজনেস বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দেয়। মিরসরাই বারৈয়ারহাট অনলাইন বাণিজ্যিক গ্রুপের এডমিন মোঃ তুহিনকে বাণিজ্যিক অফিসে গিয়ে জান্নাতুল নাঈম কে এডমিন পেনেল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
অভিযুক্ত নাইমুল হাসান শুভ বলেন, এব্যাপরে আমি কিছুই জানিনা। আমি চট্টগ্রাম থাকি । আমার নাম কেন আসলো।
রিয়াদ হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কে বা কারা হামলা করেছে, চাঁদা দাবী করছে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তাও আমি জানিনা।
এব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে থানার টিম যাবে। দোষী সাব্যস্ত হলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।