মিরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট- রামগড় সড়কের বারইয়ারহাট থেকে করেরহাট অংশে সাম্প্রতিক সময়ের অতিবৃষ্টিক কারণে সড়কে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটি ঢাকা–চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক ও বর্তমানে বারইয়ারহাট রামগড় সড়কের করেরহাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা গত কয়েক বছর ধরেই। কোথাও গর্ত, কোথাও কংক্রিট এবং ঢালাই সরে পুরো রাস্তা কাদাময়। সামান্য বৃষ্টি এলেই যানবাহন, মালবাহী গাড়ি, মানুষ পারাপারে বিঘ্ন তো হচ্ছেই। প্রায় সময় যানবাহন বিকেলে সৃষ্টি হয় যানজটের। দুর্ভোগের শেষ নেই পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ির চালক–হেল্পারদের।
সরেজমিনে ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, একদিকে রামগড় ও খাগড়াছড়ির কানেকটিং পয়েন্ট, অপরদিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার সংযোগ পয়েন্ট। আবার করেরহাট–বারইয়াহাট এলাকা এই উপজেলার কয়েকটি রুটের ট্রানজিট পয়েন্ট। লক্ষীছড়া এবং তেলিপুল এ দুটি ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এক কিলোমিটার অংশ ভালো হলেও বাকি অংশগুলোতে চরম দুর্ভোগ পোড়াচ্ছে যানবাহন ও জনসাধারণ।
করেরহাট বাজারের কিটনাশক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, করেরহাট থেকে বারইয়াহাট বাজারের পথে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। ভাঙাচোরা অংশে প্রতিদিন অনেক গাড়ির চাকা পাংচার হচ্ছে, কোনো কোনো সময় গাড়ি বিকলও হচ্ছে। এভাবে গত কয়েক বছর ধরেই দুর্ভোগ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তপন চন্দ্র শীল বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র এই সড়কটির জন্য। ভাঙাচোরা দশার জন্য সরকারের সুনাম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি করেরহাট বাজারের অন্তত রাস্তাটিতে ভালোভাবে বিটুমিন আর পিচ ঢালাই দিতে সড়ক বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
স্হানীয় ১ নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, বারিয়ারহাট – করেরহাট -শুভপুর রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত রাস্তা সড়ক ও জনপদের (সওজের)। মানুষ মনে করে ইউনিয়ন পরিষদের। আমি সওজের করেরহাটের দায়িত্বরত এসওকে বার বার বলার পরও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক দিন পূর্বে এই রাস্তায় যাত্রীসহ ২টি সিএনজি উল্টে গেছে। এই বর্ষা মৌসুমেও রাস্তা মেরামত না হওয়া বড়ই দুঃখজনক।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, এই সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। বৃষ্টির জন্য সংস্কার তাৎক্ষণিক সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যেও ইট বসানো হচ্ছে এবং বৃষ্টি থামলে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করা হবে। তবে বারইয়াহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার পুরো সড়কটিই ৩৮ ফুট প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হওয়ায় স্থায়ী সংস্কার করা সম্ভব নয়। এমনিতে পুরো রাস্তা তুলে নতুন করে করা হবে।