দেশের সমুদ্র উপকূল এলাকায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূল এলাকায় ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে জানমালের নিরাপত্তায় জন্য মীরসরাইয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ৭৮ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র।
এরই মধ্যে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) কমিটির সদস্যসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, ১৬ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ২ পৌরসভার মেয়র উপস্থিত ছিলেন। এসময় ঘুর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ডেস্ক খোলা হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) মীরসরাই উপজেলা টিম লিডার এম সাইফুল্লাহ দিদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মীরসরাইয়ে সিপিপি’র ১৬শ’ নারী পুরুষ কর্মী নিয়েজিত রয়েছেন। মীরসরাইয়ের উপকূলীয় অঞ্চলের সাহেরখালী, ইছাখালী, মঘাদিয়া, ওচমানপুর ইউনিয়নসহ ১৬টি ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১০নম্বর সর্তকতা সংকেত প্রদান করলে প্রশাসনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে বাধ্য করা হবে।
মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে ৮নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ায় মীরসরাইয়ের প্রতিটা ইউনিয়ন এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কতা বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে বসবাসরতদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসার জন্য বার বার অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকায় দেশি-বিদেশী কোম্পানীতের কর্মরতদের বেজা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে আসার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য মীরসরাইয়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রারাসাসহ ৭৮ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এ ছাড়া মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা জিআরও ক্যাশ মজুদ রয়েছে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রশাসনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সর্তক ও প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।