চট্টগ্রাম 9:52 am, Tuesday, 15 October 2024

মীরসরাইয়ে ধানকাটা উৎসব

মীরসরাইয়ে নাচ-গান, পিঠা-পুলির আয়াজনের মধ্য দিয় ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। এত প্রায় দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী অংশ গ্রহণ কর। বৃহস্পতিবার ( ১ ডিসম্বর) সকালে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় জমিতে পাকা আমন ধান কাটার মাধ্যম উৎসবর উদ্বাধন করেন বিশিষ্ট আইটি বিশষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের উদ্যোগে এই উৎসব কৃষক ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলন।

উৎসব গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক কৃষক গায়ে সাদা গঞ্জি, পরনে লুঙ্গি, মাথায় গামছা ও হাতে কাঁছি নিয়ে ধান কাটার জন্য সড়কের পাশের সারিবদ্ধভাব অবস্থান করেন। প্রধান অতিথি ধান কাটা উদ্বোধন করার সাথে সাথে একসাথে সবাই প্রায় এক একর আমন ধান কাটেন। এরপর এক রঙ্গর শতাধিক নতুন শাড়ী পরিধান কর ছুটে আসেন গ্রামর কৃষাণীরা। কারা হাত খালি নই। একজন এক ধরনের পিঠা তৈরি করছেন। কারো হাত চিতল, দুধচিতল, পুলি, নকশি, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাখন পিঠা হরক রকমর পিঠা পিঠা নিয় উপস্থিত হন তারা। জমির চারপাশ একতারা ও বাদ্যযন্ত্র হাতে নাচ আর গান গাইছেন একদল শিল্পী। এ যেন গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।

উৎসবের উদ্যোক্তা মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, আমাদের গ্রামও শহরর যান্তিকতা চলে আসছে। হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সকল ঐতিহ্য। তাই হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে আমার এই আয়োজন।

ধানকাটা শেষে মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, আমি ছোট বেলায় দেখছি আমার দাদারা ধান কাটা নিয়ে অনেক আনন্দ করতো। এখন তা হারিয়ে গেছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে এমন চমৎকার আয়োজন করা জন্য ধন্যবাদ জানাছি। তিনি আরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন কিছুতেই তিন ফসলী জমি নষ্ট করা যাবে না। আমাদের অনাবাদী জমি চাষাবাদ করতে হবে। আমার কষ্ট লাগে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এক শ্রেণীর মধ্যস্বত্ত্বভাগী লাভবান হয়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষক ছাড়া একটি দেশ কোন প্রকারই খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই কৃষকদের কৃষি কাজ উৎসাহ দিতে বর্তমান সরকার ভূর্তকি ও বিনা মূল্য সার, কিটনাশক ও বীজ সরবরাহ করে আসছেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল গনি, তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাঈনুদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফায়ল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, ইউনিয়ন যুবলীগর সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার লিটন সহ প্রমুখ।
আলাচনা সভা শেষে ধান কাটায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ পূর্ণগঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ কর

মীরসরাইয়ে ধানকাটা উৎসব

Update Time : 07:08:18 pm, Thursday, 1 December 2022

মীরসরাইয়ে নাচ-গান, পিঠা-পুলির আয়াজনের মধ্য দিয় ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। এত প্রায় দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী অংশ গ্রহণ কর। বৃহস্পতিবার ( ১ ডিসম্বর) সকালে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় জমিতে পাকা আমন ধান কাটার মাধ্যম উৎসবর উদ্বাধন করেন বিশিষ্ট আইটি বিশষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের উদ্যোগে এই উৎসব কৃষক ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলন।

উৎসব গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক কৃষক গায়ে সাদা গঞ্জি, পরনে লুঙ্গি, মাথায় গামছা ও হাতে কাঁছি নিয়ে ধান কাটার জন্য সড়কের পাশের সারিবদ্ধভাব অবস্থান করেন। প্রধান অতিথি ধান কাটা উদ্বোধন করার সাথে সাথে একসাথে সবাই প্রায় এক একর আমন ধান কাটেন। এরপর এক রঙ্গর শতাধিক নতুন শাড়ী পরিধান কর ছুটে আসেন গ্রামর কৃষাণীরা। কারা হাত খালি নই। একজন এক ধরনের পিঠা তৈরি করছেন। কারো হাত চিতল, দুধচিতল, পুলি, নকশি, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাখন পিঠা হরক রকমর পিঠা পিঠা নিয় উপস্থিত হন তারা। জমির চারপাশ একতারা ও বাদ্যযন্ত্র হাতে নাচ আর গান গাইছেন একদল শিল্পী। এ যেন গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।

উৎসবের উদ্যোক্তা মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, আমাদের গ্রামও শহরর যান্তিকতা চলে আসছে। হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার সকল ঐতিহ্য। তাই হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে আমার এই আয়োজন।

ধানকাটা শেষে মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, আমি ছোট বেলায় দেখছি আমার দাদারা ধান কাটা নিয়ে অনেক আনন্দ করতো। এখন তা হারিয়ে গেছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে এমন চমৎকার আয়োজন করা জন্য ধন্যবাদ জানাছি। তিনি আরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন কিছুতেই তিন ফসলী জমি নষ্ট করা যাবে না। আমাদের অনাবাদী জমি চাষাবাদ করতে হবে। আমার কষ্ট লাগে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এক শ্রেণীর মধ্যস্বত্ত্বভাগী লাভবান হয়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, কৃষক ছাড়া একটি দেশ কোন প্রকারই খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তাই কৃষকদের কৃষি কাজ উৎসাহ দিতে বর্তমান সরকার ভূর্তকি ও বিনা মূল্য সার, কিটনাশক ও বীজ সরবরাহ করে আসছেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল গনি, তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মাঈনুদ্দীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফায়ল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, ইউনিয়ন যুবলীগর সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার লিটন সহ প্রমুখ।
আলাচনা সভা শেষে ধান কাটায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।