ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ গ্রীসে ভযাবহ ট্রেন দূর্ঘটনায় নির্মমভাবে নিহত.ইদ্রিসের মরদেহ অবশেষে ২৪ দিন পর হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম মেখলের নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ২ টার দিকে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে আলি মোল্লা কাজী বাড়ি ও খলিফা পাড়া জামে মসজিদ মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইদ্রিস হাটহাজারী উপজেলার ৮ নং মেখল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ খলিফা পাড়ার মৃত সাহেব মিয়ার পুত্র। গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে প্রায় ২৪ দিন পর অবশেষে শুক্রবার বিকালের দিকে ইদ্রিসের লাশ দেশে আসে । নিহতের আপন ছোট ভাই ইলিয়াস জানায়, আমার মরহুম ভাইয়েরা কফিনটি বিকালের দিকে কাতার এয়ারলাইন্সের কার্গো ফ্লাইট নং কিউআর-৬৩৪ এ করে ঢাকা এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায়। পরে ছোট ভাই জালালের হাতে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কফিনটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেন। পরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে কফিনটি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেখলস্থ নিজ বাড়িতে আনা হয় । এবং শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে আলি মোল্লা কাজি বাড়ি ও খলিফা পাড়া জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গনে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম বাবার পাশেই দাফন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য মোহসিন জানান, দূর্ঘটনায ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যাওযায় তার শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। তাই ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশ সনাক্ত করতে হয়েছে। আপনারা সবাই মরহুমের জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, গত চলতি বছরের গত ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রিসের লারিসা শহরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনার ঘটনায় ইদ্রিস মর্মান্তিকভাবে প্রান হারায়। গ্রিসের ইতিহাসে এটিই ছিলো সবচেয়ে বড় ট্রেন দূর্ঘটনা।এ ঘটনায় অর্ধশতেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।