হাটহাজারীতে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে মো.আব্বাস উদ্দিন (২১) ও মো.জাবেদ (২০) নামের দুই যুবক আহত হযেছে। এদের মধ্যে শুরুতর আহত আব্বাস বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরের দিকে গুরুতর আহত আব্বাসের বাবা রং মিস্ত্রী সৈয়দ শামসুদ্দোহা বালি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গত শনিবার ২০ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের ২ নং ওযার্ডস্থ মুন্সি বাড়ীর একটি গাছের মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে যায় দুই বন্ধু আব্বাস ও জাবেদ। এসময় মৌচাক থেকে মৌমাছি তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া সৃষ্টি করতে বিশেষ কায়দায় দাহ্য পদার্থ অকটেন দিয়ে আগুন ধরানোর সময় অসাবধানতা বসত গাছের উপরে থাকাবস্থায় আব্বাসের পরনের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এ অবস্থায় নেমে নামলে তাদের আত্ন চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলার চৌধুরীহাট এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দাযিত্বরত চিকিৎসক ওই ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ বাড়ীর সৈয়দ শামসুদ্দোহা বালির পুত্র আব্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এবং অপর আহত ওই ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের মনু উকিল বাড়ীর সিএনজি চালক মফিজের পুত্র জাবেদকে তার স্বজনরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাখাওয়াত এ প্রতিবেদক কে জানান, খুবই দরিদ্র ঘরের সন্তান গুরুতর আহত আব্বাসকে চাঁদা তুলে চমেক নিয়ে গেলে প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয়। একদিন পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসকরা তাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করেন। ওই এলাকার বদিউল আলম হাটের ব্যবসায়ী মো.রবি বলেন গুরুতর আহত আব্বাসের চিকিৎসায় সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান শাহেদুল আলম শাহেদ এবং ঘটনাস্থল ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে অবগত নন বলে জানান।
গুরুতর আহত চমেকে চিকিৎসাধীন আব্বাসের বাবার কাছে বুধবার দুপুরের দিকে জানতে চাইলে তিনি উত্তর চট্টলা কে জানান, আমার ছেলে এখনও চমেকে চিকিৎসাধীন আছে।তবে ডাক্তার বলেছেন তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আংশিক উন্নতি হয়েছে।