আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পর পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় লালানগর ইউনিয়নের শামসুল আলমের পুত্র মো. নুরুল আলম(৩৪), মো. সেকান্দর (৪০) ও ইসকান্দর (৪৫) নামে তিন ব্যক্তি। পরে নুরুল আলমের স্ত্রী তানজিনা আকতার বাদী হয়ে ২৯আগষ্ট ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৭/৮জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পর মামলার দ্বিতীয় আসামী পারুয়া এলাকার মো. সিরাজদৌল্লা’র পুত্র মো. সৈকতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ওবাইদুল্লাহ(৩৫), মো. আরমান হোসেন(২৫), মো. নাছির উদ্দিন প্রকাশ নাসির ড্রাইভার(৩০), মো. মোজাম্মেল (২৪), মো. ফারুক(২৬), মো. আজগর(২৩), মো. আবু বক্কর (৩৫), কোরবান আলী(৩০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি পারুয়া ইউনিয়নে। তারা এখনো অধরা রয়েছে।
আহত মো. নুরুল আলম বলেন, সরকার পতনের দুই দিন পর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পারুয়া এলাকায় আমার বোনের শ্বশুর বাড়ির মূল গেইট ভাঙচুর করে আসামীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলে বাড়ি ফেরার পথে পারুয়া কালি মন্দির গেইটের সামনে আসলে, তারা আমাদের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে পেলি। এসময় আমাদের সাথে থাকা তিন মোটরসাইকেল, ৫টি মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগে থাকা ৬৬হাজার টাকা ও একটি ১লক্ষ টাকার পে- অডার ছিনিয়ে নেয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই উত্তম কুমার জানান, সৈকত নামে ওই আসামীকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদেরও ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।