চট্টগ্রাম 8:38 am, Tuesday, 15 October 2024

রাঙ্গুনিয়ায় ঈদ বাজারে ক্রেতার চেয়ে দর্শক বেশি

ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতার চাপ বাড়তে শুরু করেছে মার্কেটগুলোতে। এখন সবাই ধুম বেচাকেনার ব্যস্ত। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গেল রাঙ্গুনিয়ার ঈদ বাজারে। এখানের মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও ক্রেতার চেয়ে তিন চার গুন বেশি দর্শকের সংখ্যা বলে জানিয়েছেন দোকানীরা। পুলিশী টহল থাকলেও নামমাত্র পুলিশ যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ভীড় কম থাকে। অর্থাৎ যে লাউ সে কদু।

উপজেলার সবচেয়ে বড় চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারে রোববার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, দোকানীরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। সড়কের ১ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ঈদ বাজার নিয়ে ভীড় লেগে আছে। কেউ শপিং করছেন, কেউ বাজার পরিস্থিতি ঘুরে দেখছেন, কেউ গ্রুপ সহকারে জটলা বেঁধে দাড়িয়ে আছেন। আবার উঠতি বয়সী কিছু তরুণদের দেখা গেছে মার্কেটে আসা মহিলা ক্রেতাদের উত্ত্যক্ত করতে। হঠাৎ অটোরিকশা যোগে তিনজন পুলিশ সদস্য এসে কিছু বকাটেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিচ্ছে। বকাটেরাও তাদের সাথে চোর পুলিশ খেলছে। একটু পর পুলিশ চলে যাওয়াতে আবারো ভীড় লেগে যায়।
দোকানীরা জানান, কাস্টমারের চেয়ে দর্শকের সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। অনেকসময় দোকানে কাস্টমার আসলে বাইরে অনেক বকাটে ঘুরঘুর করে। এতে করে আমাদের ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ আসলেও তারা আবার চলে যায়।
পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সুমন চৌধুরী নামে এক ক্রেতা জানান, আসলে দোকানে ভীড় কম হলেও বাইরে প্রচুর ভীড়। উঠতি বয়সের তরুনেরা জটলা বেঁধে দাড়িয়ে আছে। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের বিভিন্ন অশালীন ইঙ্গিত করতে।

চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঈদকে ঘিরে মার্কেট জমে উঠেছে। তবে ক্রেতার চেয়ে দর্শকের সংখ্যা অনেক বেশি। এতে ক্রেতাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তিনি পুলিশি টহল বৃদ্ধির আহবান জানান।
উপজেলার রোয়াজারহাট, রাণীরহাটসহ অন্যন্য বাজারেও একই অবস্থা। সেখানেও পুলিশি টহল বৃদ্ধিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহাবুব মিল্কি জানান, রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ঈদ বাজার নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাজার সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারির সমন্বয়ে আমি নিজেই মাঠে তদারকি করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ পূর্ণগঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ কর

রাঙ্গুনিয়ায় ঈদ বাজারে ক্রেতার চেয়ে দর্শক বেশি

Update Time : 03:16:33 pm, Sunday, 16 April 2023

ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতার চাপ বাড়তে শুরু করেছে মার্কেটগুলোতে। এখন সবাই ধুম বেচাকেনার ব্যস্ত। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গেল রাঙ্গুনিয়ার ঈদ বাজারে। এখানের মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও ক্রেতার চেয়ে তিন চার গুন বেশি দর্শকের সংখ্যা বলে জানিয়েছেন দোকানীরা। পুলিশী টহল থাকলেও নামমাত্র পুলিশ যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ভীড় কম থাকে। অর্থাৎ যে লাউ সে কদু।

উপজেলার সবচেয়ে বড় চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারে রোববার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, দোকানীরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। সড়কের ১ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ঈদ বাজার নিয়ে ভীড় লেগে আছে। কেউ শপিং করছেন, কেউ বাজার পরিস্থিতি ঘুরে দেখছেন, কেউ গ্রুপ সহকারে জটলা বেঁধে দাড়িয়ে আছেন। আবার উঠতি বয়সী কিছু তরুণদের দেখা গেছে মার্কেটে আসা মহিলা ক্রেতাদের উত্ত্যক্ত করতে। হঠাৎ অটোরিকশা যোগে তিনজন পুলিশ সদস্য এসে কিছু বকাটেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিচ্ছে। বকাটেরাও তাদের সাথে চোর পুলিশ খেলছে। একটু পর পুলিশ চলে যাওয়াতে আবারো ভীড় লেগে যায়।
দোকানীরা জানান, কাস্টমারের চেয়ে দর্শকের সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। অনেকসময় দোকানে কাস্টমার আসলে বাইরে অনেক বকাটে ঘুরঘুর করে। এতে করে আমাদের ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ আসলেও তারা আবার চলে যায়।
পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সুমন চৌধুরী নামে এক ক্রেতা জানান, আসলে দোকানে ভীড় কম হলেও বাইরে প্রচুর ভীড়। উঠতি বয়সের তরুনেরা জটলা বেঁধে দাড়িয়ে আছে। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের বিভিন্ন অশালীন ইঙ্গিত করতে।

চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঈদকে ঘিরে মার্কেট জমে উঠেছে। তবে ক্রেতার চেয়ে দর্শকের সংখ্যা অনেক বেশি। এতে ক্রেতাদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তিনি পুলিশি টহল বৃদ্ধির আহবান জানান।
উপজেলার রোয়াজারহাট, রাণীরহাটসহ অন্যন্য বাজারেও একই অবস্থা। সেখানেও পুলিশি টহল বৃদ্ধিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহাবুব মিল্কি জানান, রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ঈদ বাজার নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাজার সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারির সমন্বয়ে আমি নিজেই মাঠে তদারকি করছি।